সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমে শুকনো কাশি ও জ্বর লক্ষ্য করা যায়। পরে এই মারণ ভাইরাস ফুসফুসে তাণ্ডব চালায়। করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শে কোয়ারেন্টিনে বা আইসোলেশন থাকতে বলা হচ্ছে।
করোনা নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য জানাচ্ছেন গবেষকরা। কয়েক দিন আগে জানানো হয়, কোনো লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াও যেকোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এরপর জানানো হয় পায়েও দেখা দিতে পারে করোনার লক্ষণ। আর এবার বলা হচ্ছে, চোখেও দেখা দিতে পারে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ। যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, করোনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে মানুষের চোখে। তবে এটি খুব সংখ্যক মানুষের শরীরে।
বলা হচ্ছে, চোখ উঠা বা চোখ রক্তবর্ণের আকার ধারণ করাও হতে পারে করোনার লক্ষণ। এটি হয়তো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার একটি সতর্ক বার্তা। তবে এটি অ্যালার্জির কারণেও ঘটতে পারে। এই বিষয়টি প্রমাণ করতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্যের ইয়েল মেডিসিনের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ভিসেন্টে ডিয়াজ বলেছেন, অনেক ভাইরাল অসুস্থতাই চোখকে প্রভাবিত করতে পারে। সাধারণত ফলকুলা কনজেক্টিভাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। আমরা জেনেছি যে কভিড-১৯ কম সংখ্যক লোকের চোখের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। চোখে করোনার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
কনজেক্টিভাইটিস বলতে বুঝানো হয়, চোখ লাল বা গোলাপি হয়ে যাওয়া, রক্তবর্ণ হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বলতে থাকা, চোখ থেকে পুঁজ পড়া, চুলকানি সৃষ্টি হওয়া বা পানি পড়া।
আমেরিকান চক্ষুবিজ্ঞান একাডেমি জানিয়েছে, কনজেক্টিভাইটিসও করোনার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে। কিন্তু এটি খুব সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে। তবে মনে রাখতে হবে এটি অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে। চলতি মৌসুমে এটি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের অন্যান্য লক্ষণ যেমন, কাশি ও জ্বরের সঙ্গে যদি দেখা দেয় চোখের সমস্যা তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) এর পক্ষ থেকেও এই ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply