ড্রেজার মেশিন দিয়ে সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং সদর ৫/৬ নং বাজার পশুর হাটের বিশাল মাঠ ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে এই এলাকার সড়ক, সেতু ও আশপাশের বাড়ি-ঘর হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় সেতু ও পাশ্ববর্তী পাকা সড়কটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী । জানা যায়, বর্ষাকালে পশুর হাটটি পানির নীচে তলিয়ে থাকে। ফলে কোরবানির ঈদের আগে নির্ধারিত স্থানের পশুর হাটটি ৫/৬ নং বাজার ও আশপাশের রাস্তার উপরে বসে। এর ফলে ঈদের আগ পর্যন্ত জনগণকে পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে পশুর হাটে মাটি ভরাটের উদ্যোগ হয় উপজেলা পরিষদ।
উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে হাটটিতে মাটি ভরাটের ঠিকাদারি দায়িত্ব পান যুবলীগ নেতা আনসার মিয়া, হাফিজ উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিন। নিয়মানুযায়ী মাটি সংগ্রহের দায়িত্ব ঠিকাদারদের থাকলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে সুনারু খালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছেন। (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরজমিনে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ড্রেজার দিয়ে বালু উঠাচ্ছেন শ্রমিকরা।এ বিষয়ে কথা হয় বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকারের সাথে। তিনি জানান, মাটি ভরাট করছে উপজেলা পরিষদ। তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মানুষের উপকারের জন্য। ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করলেও ঠিকাদারদের বলা হয়েছে রাস্তা কিংবা আশে পাশে মানুষের বাড়িঘরের কোন ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান জানান, খাল খনন হবে নির্দিষ্ট বরাদ্দের মাধ্যমে এবং যথারীতি নিয়মানুযায়ী। ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন সরকারীভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ যদি আইন অমান্য করে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন, আনসার মিয়া ও হাফিজ উদ্দিন জানান, রাস্তা কিংবা বাড়িঘরের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া খাল খনন করতে হলেও ড্রেজার মেশিন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই।
Leave a Reply