স্টাফ রিপোর্টারঃ বানিয়াচং উপজেলার সুনারু গ্রামে দারিদ্রতা কম-বেশি থাকলেও শিক্ষার প্রতি অনুরক্ত প্রায় সবাই। পেটে খাবার থাকুক বা না থাকুক, সন্তানকে নিয়মিত স্কুলে পাঠায় তারা। গ্রামে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার্থীরা সাধারণত রত্না উচ্চ বিদ্যালয়েই ভর্তি হয়। গ্রাম পেরিয়ে হবিগঞ্জ-বানিয়াচঙ্গের আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে হেঁটে যেতে হয় তাদেরকে। প্রায় ৩০ মিনিটের পথ। প্রায়ই জনশূন্য থাকে এ সড়কটি। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুনারু গ্রাম থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩ ছাত্রী রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চুঙ্গিরভাঙ্গা ব্রীজের কাছে পৌঁছা মাত্রই সুনসান সড়কে হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচংগামী একটি ফাঁকা সিএনজিচালিত অটোরিক্সা তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। এসময় অটোরিক্সা চালক ছাত্রীদের একজনকে টেনে-ছিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাটি অন্য ছাত্রীরা দেখে চিৎকার শুরু করলেও আশপাশে শুনার কেউ ছিল না। একপর্যায়ে বানিয়াচং থেকে হবিগঞ্জ গামী যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা পৌঁছায় ওই স্থানে। তাদের চিৎকার শুনে অটোরিক্সাটি দাঁড়ানো মাত্রই প্রথম অটোরিক্সা চালক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে বানিয়াচংয়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে যাত্রীরা ভীত শিক্ষার্থীদের সান্তনা দিলে তারা ফিরে আসে বাড়িতে। পরে অবশ্য তাদের অভিভাবকরা ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে নিয়ে যান তাদেরকে। কিন্তু এ ঘটনায় সুনারু গ্রামের ছাত্রীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। ওই ছাত্রীরা জানায়,অটোরিক্সা চালককে তারা কেউ চিনে না, তার গাড়ির নাম্বারটিও তাদের কারো মনে নেই। তবে তারা ওই চালককে আবার দেখলে চিনতে পারবে বলে জানায়। ওই চালকের মুখে একটি জন্মচিহ্ন রয়েছে, যা তাদের মনে রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী তথা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ মুরুব্বিদেরকে জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে দোষী চালককে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply