নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলার বাহুবলে ২৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে একই মাপ ও মানের জাতীয় পাতাকা উড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এ উপলক্ষে আগামী সোমবার (২রা সেপ্টেম্বর) জাতীয় পতাকা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঠিক ওইদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসার্স ক্লাবে প্রেস ব্রিফিং করে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তোলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুত মিয়া, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল ওয়াহেদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ভূইয়া, দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) প্রণয় চন্দ্র দেব, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রিংকু দাশ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশীষ কর্মকার ও উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা জয়া সাহা প্রমুখ। ব্রিফিংকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি প্রতিষ্ঠানগুলো ভিন্ন ভিন্ন সাইজের পতাকা উড়াচ্ছে। জাতীয় পতাকার যথাযথ মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জেলার সকল প্রতিষ্ঠানে একই সাইজ ও মানের জাতীয় পতাকা উড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এ জন্য তিনি জেলার এক হাজার ৫৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করছেন।
আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার ৯টি উপজেলায় একযোগে জাতীয় পতাকা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে এসএস পাইপ দ্বারা পতাকার স্ট্যান্ড ও টাইলস ফিটিং পাদদেশ তৈরি করবে। এতে জাতীয় পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য্যও বাড়বে।
তিনি বলেন, আগামী সোমবার উপজেলা সদরস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উৎসবের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলার ১০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৫টি কিন্ডারগার্টেন, ৩৫টি কওমী মাদরাসা, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি দাখিল মাদরাসা ও ২টি কলেজ প্রধানের হাতে একই সাইজ ও মানের জাতীয় পতাকা তোলে দেয়া হবে।
Leave a Reply