শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ।। চুনারুঘাট উপজেলার কৃতিসন্তান,হবিগঞ্জ তথা সিলেটের গৌরব,আলোচিত আইনজীবী,আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ফেইক ফেসবুক পেইজের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন করেছে চুনারুঘাট উপজেলাবাসী ।আজ ২৩ জুলাই বিকাল ৪টায় চুনারুঘাট পৌরসভার মধ্যবাজারে মানববন্ধন করা হয়েছে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন হাজী ইয়াছিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোতাহির চৌধুরী,মাদ্রাসা সুপার মোসাহিদ আলী,চুনারুঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম,ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান মাসুদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজু,ব্যবসায়ী নেতা সাজিদুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা লিটন,প্রভাষক আব্দুল করিম,মাষ্টার মাসুক মিয়া,কদ্দুস মিয়া,উপজেলা তাঁতীলীগ সভাপতি কবির খন্দকার,ছাত্রলীগের আহবায়ক সোহাগ আহমেদ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ সোহাগ হক, আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,
সাংবাদিকবৃন্দের একাংশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ। এদিকে সকাল সাড়ে ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রীজ এলাকায় মানববন্ধন করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাবাসী।সেখানে উপস্থিত ছিলেন
চান্দ আলী মেম্বার,সাবেক মেম্বার ইউনুছ আলী,উবাহাটা আজিমুন্নেছা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কাজী বাছিত মিয়া,মামুনুর রশীদ,ব্যবসায়ী রাকিবসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার শত শত মানুষ।
প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
এর পর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একপর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীল হয়ে ওই নারীর সঙ্গে হাত মেলান।
কারা এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।’
এ ঘটনায় গত রোববার প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সুমন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করলে আদালত সেটা খারিজ করে দেয়।
পরদিন সোমবার রাজধানীর ভাসানটেকের গৌতম কুমার এডবর নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে উপরোক্ত উল্লেখিত মামলাটি করেন।যার কোন সত্যতা নেই বলে দাবী করেছেন মানববন্ধনকারীরা। প্রিয়া সাহার দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির বহু উদাহরণ আছে। বাংলাদেশ যেখানে ধর্মীয় সম্প্রতির মডেল হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে, সেখানে বিদেশ গিয়ে প্রিয়া সাহার এমন নালিশ দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে বলেও মনে করেন তারা।প্রিয়া সাহার এমন রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের আবেদনের জের ধরেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে
ব্যারিস্টার সুমনের উপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে মনে করেন তারা।যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও মানহানিকর দাবী করে অনতিবিলম্বে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুমনের উপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের
দাবীসহ প্রিয়া সাহাকে যে কোন মূল্যে দেশে আনার ব্যবস্থা করে তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।ব্যত্যয় ঘটলে এসব মিথ্যা মামলা ও দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা।
Leave a Reply