স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জে দলবেঁধে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী ফাতেহা আক্তার হত্যা মামলায় বাদীর স্বামী ও নিহত ফাতেমার দুলাভাই সহ ৪জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- নবীগঞ্জ উপজেলার বাশডর গ্রামের বাসিন্দা ও মামলার বাদীর স্বামী এবং নিহত ফাতেমার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম, নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুন নূরের ছেলে আব্দুল মন্নাফ, একই এলাকার বজলা মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া ও আনমনু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রাজু আহমেদ। মামলার অপর দু’অভিযুক্ত আলাল মিয়া ও খালেক মিয়াকে খালাস প্রদান হয়েছে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আরব আলীর মেয়ে রৌশন আর সঙ্গে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতো সাইফুল ইসলাম। ২০০২ সালের ২০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রৌশন আরার বোন স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেহা আক্তারকে ফুসলিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান দুলাভাই সাইফুল ও তার সহযোগীরা। এরা পার্শ্ববর্তী নদীতে একটি নৌকায় নিয়ে গণধর্ষণের পর ফাতেহাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরদিন বিকেলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ২৬ আগস্ট ফাতেহার বোন রৌশন আরা বাদী হয়ে তার স্বামী সাইফুলসহ ৬ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নবীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন ২০০৩ সালের ১৯ জুন ৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর আদালত এ রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট নূরুল আমীন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট রোকসানা পারভীন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আবু হাশেম মোল্লা মাসুম বলেন, এ রায়ে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন সন্তুষ্ট। দীর্ঘদিন পর হলেও রায় হওয়ায় খুশি তারা।
Leave a Reply