নুর উদ্দিন সুমন।। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পশ্চিম বড়াইলে দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবী খুন হয়েছে।এঘটনায় পুলিশ দেবর সাইফুর রহমান (১৯)কে গ্রেফতার করেছে। নিহত হুছনা (৩২) উপজেলার পশ্চিম বড়াইল গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ১জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবিকানির্বাহের জন্য রিপন কুয়েত চলে যায়, স্ত্রী হুছনা দুটি সন্তান নিয়ে রিপনের ফুফু খুদেজার সাথেই বসবাস করতেন। খুদেজা বানুর বিয়ে দেয়া হয়েছিল বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের ছুরত আলীর নিকট। ছুরত তার বাড়ী ঘর বিক্রি করে বড়াইলেই জায়গা কিনে শশুর বাড়িতে বসবাস করছে। রিপন ও ছুরতের পাশাপাশি ঘর তাদের নানা বিষয়ে মনোমনোমালিন্য হত। কুয়েত প্রবাসী রিপন মিয়ার আপন ফুফাত ভাই ঘাতক সাইফুর। আর আপন মামাত ভাইর স্ত্রী হুছনা। ঘাতক সাইফুর জানায় তার মা খুদেজার সাথে হুছনার প্রায় সময় ঝগড়াঝাঁটি হত। সাইফুর চুনারুঘাট সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়ে, আজ তার ওরিয়েন্টশন ক্লাস ছিলো, কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে সাইফুর তার মায়ের সাথে ঝগড়া দেখতে পায় এবং তার মাকে মারপিট করে হুছনা এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে বুকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে বলে ঘাতক সাইফুর স্বীকার করে।
আশপাশের লোকজন হুছনাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় রাস্তায় হুছনার মৃত্যু হয়। চুনারুঘাট হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান মৃত অবস্থায় হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িলে পড়লে আশপাশের লোকজন সাইফুরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটক করে রেখে পুলিশকে খবর দেন। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং মানুষের মুখে নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এ হত্যার সঠিক রহস্য এখনো পাওয়া যায় নি। এলাকায় একাধিক মানুষের ধারনা যৌন লালসার স্বীকার হুছনা – অথবা অন্য কিছু । তবে সাইফুর ছিল খুবই উশ্রিংখল জেদী খারাপ প্রকৃতির তার বিরুদ্ধে একাধিক মানুষের অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে থানার এসআই অলক বড়ুয়া ও এসআই আলী আজহার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনার স্থলথেকে রক্তমাখা ছুরি ও ঘাতকে আটক করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটনের থানা পুলিশের তদন্তে অব্যহত রয়েছে এবং আইনের প্রক্রিয়াও অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply