বাহুবল প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার শংকরপুর গ্রামের বহু অপকর্মের হুতা জিলু মিয়ার পাঁচ ছেলে মিলে প্রতিবেশী খরিয়া গ্রামের নিরীহ কুটি মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,শংকরপুর গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়াসহ ৬/৭ জনের একদল লোক হামলা করে।
শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খরিয়া নয়াগাঁও হাওরে উক্ত খরিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে কুটি মিয়া(৪৫) শুক্রবার সন্ধ্যায় তার জমি দেখতে যান। এসময় শংকরপুর গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলেরা কুটি মিয়া জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক মাছ ধরতে থাকে।
এ সময় কুটি মিয়া তাদেরকে জমি নষ্ট করে মাছ ধরতে বাঁধা দেন। একই সময় শাহীন মিয়া, কবিরসহ তার ভাইয়েরা মিলে কুটি মিয়াকে বলে জমি থেকে চলে যা না হয় শেষ করে পেলবো।
এ অবস্থায় কুটি মিয়া তার জমি থেকে চলে না গেলে কবির মিয়া, শাহীন মিয়া সহ তারা সকল ভাই মিলে কুটি মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে এ সময় কুটি মিয়ার সুরচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে কুটি মিয়াকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে কুটি মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক বলে কতৃব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন। এ সময় ডাক্তাররা কুটি মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভালো কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য যে শংকরপুর গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলেরা ইতিপূর্বেও তাদের আপন চাচা তিতু মিয়া ও জিতু মিয়া মারধোর করে হাত পা,ভেঙ্গে দিয়েছে এঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে। শংকরপুর ও খরিয়া গ্রামবাসী জানান এ পর্যন্ত জিলু মিয়ার ছেলেরা একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় আজ পর্যন্ত কোনো ঘটনারই সঠিক বিচার পায়নি গ্রামের নিরীহ লোকজন যার কারণে জিলু মিয়ার ছেলেরা বারবার একাধিক ঘটনা ঘটিয়েও পার পেয়ে যায়।
খরিয়া গ্রামের নিরীহ কুটি মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার ঘটনায় এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে এ নিয়ে যে কোন সময় মারাত্মক সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply