সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে চুনারুঘাটে নিহত রাজু মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার চুনারুঘাট থানায় ব্যারিস্টার সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ ॥ নিরাপত্তা জোরদার চুনারুঘাট ও মাধবপুরে ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক মাধবপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে নারীসহ আটক ৫ নবীগঞ্জে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল চুনারুঘাটে সাবেক এমপির গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহত ॥ অতঃপর ফাঁকাগুলি মাধবপুরে ভারতীয় শাড়িসহ ৩ কোটি টাকার চোরাই পন্য জব্দ লাখাইয়ে বিনামূল্যে বিতরণকৃত ধান-বীজ দোকানে রাখার দায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা চুনারুঘাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সামাদ গ্রেপ্তার

বানিয়াচঙ্গে সরকারী ভাবে কৃষকের বাড়ী থেকে ধান ক্রয় করলেন জেলা প্রশাসক

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ মে, ২০১৯
  • ৪০৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বানিয়াচংয়ে সরাসরিপ্ রকৃত কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে কাছ থেকে ধান কিনছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ ও খাদ্য অফিসের কর্মকর্তারা। গতকাল রোববার বিকেলে সদর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের দোয়াখানী গ্রামের হাজী আহমদ উল্লার বাড়ি থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক এই ধান ক্রয় করেন তিনি। ওই দিন ৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৫০ মন ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধান কেনা হয় ২৬ টাকা দরে। উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকরা যাতে ধানের দাম পায় ও প্রকৃত কৃষক যাতে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার যাছাই-বাছাই করে কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে দিয়েছেন। এবার এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৯০ মেট্টিক টনের বেশি ধান কেনা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকার বলেন, দেশে কৃষকরা ঠিক মতো ধানের দর পাচ্ছেন না। তাই বানিয়াচংয়ের গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা প্রকৃত দাম পান। সরাসারি কৃষকদের তালিকা করে দেয়া হয়েছে। একজন কৃষক কমপক্ষে আধা টন ধান সরকারকে দিতে পারবেন।

ধান বিক্রি করতে আসা দোয়াখানী গ্রামের কৃষক মোশাররফ ও শের আলী বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে তারা সরকারি গোডাউনে ধান দিতে পারেন না। তবে এবার গ্রামে এসে ধান কেনায় তারা সহজেই ধান বিক্রি করতে পারবেন। এতে কৃষকরা হয়রানি হবে না। ২৬ টাকা কেজি ধান বিক্রি করে তাদের লাভ থাকছে। তবে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি করেন তারা। কৃষক নায়েব আলী ও সামাদ মিয়া জানান, কমপক্ষে প্রতিটি উপজেলা থেকে ২ থেকে ৩ হাজার মেট্টিক টন ধান কেনা উচিত। তাতে কৃষকরা কিছুটা লাভবান হতো। এত অল্প ধান কেনায় সব কৃষক এ সুবিধা পাবে না। তারপরও উপজেলা প্রশাসন থেকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা কৃষকদের জন্য ভালো হবে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খালেদ হোসাইন বলেন, প্রকৃত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। কোনো ফড়িয়া বা দালালের কাছ থেকে ধান কেনার কোনো সুযোগ নেয়। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই প্রকৃত কৃষকদের বাছাই করে তাদের কাছ থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ধান কেনা হবে। কোনো ভাবেই কোনো সিন্ডিকেট ধান দিতে পারবে না। বেশি সংখ্যক কৃষক যাতে ধান বিক্রি করতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে ৪০ জন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খালেদ হোসাইন, জেলা টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ দাস সাগর, জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী, প্রেসক্লাব সেক্রেটারি তোফায়েল রেজা সোহেল, সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন সুমন, সাংবাদিক মখলিছ মিয়া, জীবন আহমেদ লিটন, ছাত্রলীগের সভাপতি এ ডেজ এম উজ্জ্বল, সেক্রেটারি রিপন চৌধুরী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com