নুর উদ্দিন সুমন।। জেলার চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি মুড়ারবন্দ এলাকায় ৫২ শতক জমির মধ্যে অবস্থিত ইকরা জুনিয়র হাইস্কুল। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এ স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশত। ১৬ জন শিক্ষকের মাধ্যমে স্কুলে সুশিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। দিন দিন স্কুলটি এগিয়ে যাচ্ছে।
এরমধ্যে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মুসলিম উদ্দিন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি স্কুলটিকে এমপিওভূক্ত করাতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তিনি এগোতে পারছিলেন না।
এ ব্যাপারে আলাপকালে ডাঃ মুসলিম উদ্দিন বলেন- অবশেষে স্কুলটিকে এমপিওভূক্ত করার জন্য উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামের পীর মুর্শেদ কামালের মুরিদ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মোঃ মঞ্জু মিয়ার সাথে পরামর্শ করি।
মঞ্জু মিয়া আমাকে বলেন, এমপিওভূক্ত করতে হলে বিভিন্ন দপ্তরে উৎকুচ দিতে হয়। তা না হলে কোনদিনই এমপিওভূক্ত হবে না। এ প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা মঞ্জু মিয়ার কাছে প্রদান করি। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এমপিওভূক্ত বন্ধ হয়ে গেলে মঞ্জুর কাছে এ টাকা ফেরত চাই।
অবশেষে পীর মুর্শেদ কামালের মাধ্যমে মঞ্জু ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হয়। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হলেও সে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে মঞ্জুর মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেও কোন ফল আসেনি। বিষয়টি নিয়ে স্কুলে আলোচনা করি। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সম্মতি দেন এ ব্যাপারে মানববন্ধন করার জন্য।
১৮মে শনিবার স্কুল প্রাঙ্গণে ‘ইকরা স্কুলকে এমপিওভূক্ত করার কথা বলে টাকাআত্মসাত করায় হবিগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মঞ্জু মিয়ার বিরুদ্ধে’ এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে প্রশাসনের কাছে টাকা আত্মসাতকারী মোঃ মঞ্জু মিয়ার বিচার দাবী করেন। ডাঃ মুসলিম উদ্দিন বলেন, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। তিনি আরো বলেন- মঞ্জুর স্বীকারোক্তিমূলক রেকর্ড রয়েছে।
Leave a Reply