রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন মিরপুর বাজার রণক্ষেত্র ॥ দুুই দিনে ১০ ঘন্টা সংঘর্ষ ॥ আহত ৪ শতাধিক হবিগঞ্জে কমছে পানি ভাসছে ক্ষত চিহ্ন

চুনারুঘাট পোস্ট  অফিসের আশপাশে মানুষের প্রস্রাব পায়খানায় ভরাট

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৩৮৬ বার পঠিত

 

নুর উদ্দিন সুমন।।  চুনারুঘাট প্রাচীনতম উপজেলা পোস্ট অফিসটির ভবনটির চারপাশে  ময়লা আবর্জনা অবস্থায়  পড়ে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানকার কর্মরত! কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। পৌরশহরের বাল্লা রোড এলাকা। এক পাশে ফরেস্ট অফিস   অন্য পাশে  বাসাবাড়ি সহ বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান। আর মূল সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ। প্রস্রাব পায়খানায় বর্জ্যে একাকার হয়ে আছে।  পৌর শহরের পোষ্ট অফিসের পাশে পর্যাপ্ত আলোক স্বল্পতা ও অপরিকল্পিত ড্রেইনেজ ব্যবস্থায় শহরমূখি মানুষের মলমূত্র ত্যাগের অভয়াশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পৌরশহরের ব্যবসায়ীরা পোষ্ট অফিসের পরিত্যক্ত জাগায় ময়লা আবর্জনা ফেলানো হয়। যার কারণে মলমূত্র ও ময়লা আবর্জনা পচেঁ দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।  দূর্গন্ধে পোষ্ট অফিস ও পাশে থাকা ফরেস্ট অফিসের কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও যাতায়াতকৃত সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেন। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ আর দূষণের মধ্য দিয়ে নাক চেপে কোনোমতে জায়গাটা পার হয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চাইছে পোস্ট অফিস কর্মকর্তা ও পথচারীরা। স্থানীয় লোকজন জানান, এ দৃশ্য রোজকার। অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে তাঁদের। একজন পথচারী জানান, এটা একটা স্থায়ী ময়লার ডিপো। বহু বছর ধরে এভাবে চললেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। জিডিটালের ছোঁয়া, সুন্দরের সংকীর্তনের মাঝেও খেয়াল পড়েনি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের। এমন এক সময় যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল এ পোস্ট অফিসটি। কর্মব্যস্ততায় থাকতেন অফিসাররা আর সেবা পেতে চিঠি প্রেরণকারীরা লম্বা লাইনে সারিতে দাঁড়াতেন।

ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ, অফিস ফাইলপত্র, চিঠিপত্র, জনসাধারণের আদান-প্রদানকারীরা দুর্গন্ধর কারনে আসতে হিমশিম খাচ্ছেন। এখানে প্রতিদিন অফিসিয়াল কাজে শতশত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অনেক জনসাধারণের আসা-যাওয়া দেখে, হঠাৎ এ প্রতিবেদকের চোখে পড়ে পোস্ট অফিস ভবনটি। ভবনের চারপাশে ঘুরে দেখা যায়, অফিস দেখে ময়লা-আবর্জনার একটি স্তূপ, অফিসের বারান্দা ও খোলা মাঠের আশপাশে মানুষের প্রস্রাব পায়খানায় ভরাট। যা সামান্য বাতাস হলে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা পোস্ট মাস্টার এসএম মিজানুর রহমান   জানান, পোস্ট অফিসটি বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতের একটি প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে প্রতি বছর উন্নয়ন কর প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে পৌরশহরের বাজারবাসীরা প্রায়ই যানেন মলমূত্রত্যাগের মাত্র উপযুক্ত স্থান এই ড্রেইন। সকাল থেকেই একজন, দুজন, একসাথে ৪- ৫ জন এসে মলমূত্র এই ড্রেইনে ত্যাগ করেন। পোষ্ট অফিসের এই রাস্তার পাশে রয়েছে কয়েকটি চা’য়ের দোকান। সেখানে জমে আড্ডা যখন মলমূত্রত্যাগের সময় আসে লজ্জ্বা শরমের মাথা খেয়ে বসে যায় মলমূত্রত্যাগে। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানের পরিত্যাক্ত ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধ ছাড়াও এর ভিতর দিয়ে নির্মিত শহরের নোংরা পানি নিঃস্কাষনের ড্রেইন,যার মধ্যে শহরমূখী মানুষের মলমূত্র ত্যাগের ফলে পোষ্ট অফিস ও ফরেস্ট অফিসের রাস্তাটাযেন এক দুর্গন্ধময় এলাকায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে পোষ্ট অফিসের পাশে আগাছা জন্মে যেন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবিষয়ে কয়েকবার পৌর মেয়র  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের নেই ব্যবস্থা।এছাড়াও সন্ধ্যার পরপরই এই রাস্তায় জমে চায়ের আড্ডা। তার পাশাপাশি জমে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবীদের আড্ডা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি নেই। যার ফলে উঠতি বয়সের তরুণরা জড়াচ্ছে মাদকে। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষনের অভাবেই মানুষ এ পোষ্ট অফিসের পরিত্যক্ত জাগাও রাস্তার পাশে ড্রেইনেজ ব্যবস্থায় যত্রতত্র মূলমূত্র ত্যাগ ও ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি চা’য়ের দোকানের নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনা সহ কথিপয় ব্যক্তিদের মলমূত্র ত্যাগের ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে চুনারুঘাট পৌর মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন শামসু  জানান, এই রাস্তায় অটোরিক্সা চালিত সিএনজি, টমটম, মটরচালিত রিক্সা পার্কিংয়ের বিষয়ে খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, মানুষের মলমূত্র ও নোংরা ময়লা-অবর্জনায় পরিবেশ নষ্ট রোধে চুনারুঘাটবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com