নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ২১শে পদকপ্রাপ্ত হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত রবিবার রাত ১১টা থেকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সি.এম.এইচ) লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হবে। এর আগে কিছু বলা যাবে না। সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী জানান, শুক্রবার সিলেটে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তারা। অনুষ্ঠান শেষ করে রবিবার রাতে বাবা-মাকে নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন ট্রেনে। রাত ৯টা নাগাদ উত্তরার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার তৃপ্তি করের সহযোগিতায় ট্রেন থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সি.এম.এইচ-এ দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন তার বাবা। ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করান তিনি। কিডনি ছাড়াও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী।
উল্লেখ্য, নন্দিত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইছেন এখনও। ১৯৭১ সালে হবিগঞ্জের প্রথম জাতীয় সংগীতের গায়ক তিনি। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশ হয়। তবে ‘সূর্যগ্রহন’ নামক চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে। ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। চলতি বছর পেয়েছেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। সুবীর নন্দী বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নন্দী পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পেশাগত জীবনে সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবেও সুখ্যাতি অর্জন করেন।
Leave a Reply