হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র হাদি আলম (১৫) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সদর থানার পুলিশ ইনাতাবাদ এলাকার একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী ফজলুল আলমের পুত্র। মৃত্যুর খবর শুনার পর সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থী ও স্কুলের শিক্ষকগণ ছুটে যান। তার অকাল মৃত্যু কিছুতেই তারা মেনে নিতে পারছেনা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সে একবছর ধরে মা বাবার কাছে মোটর সাইকেল কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরে আসছিল। কিন্তু পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় পিতা মাতা কিনে দিতে রাজি হয়নি। গত সোমবার পুণরায় তার মায়ের নিকট একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য দাবি করে। এতে মা অপারগতা প্রকাশ করলে মায়ের সাথে তার বাক-বিতন্ডা হয়। সোমবার গভীর রাতে কোন এক সময় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাস দেয়। সকালে সে ঘুম থেকে না উঠায় ডাকাডাকি শুরু করে। এক পর্যায়ে দরজা খুলে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পুলিশকে খবর দিলে সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আছরের নামাজের পর হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশটি তার গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর একটি সূত্র জানায়, তার পিতা সৌদি আরব রয়েছেন। মৃত্যুর খবর শুনার পর তিনি দেশে আসার জন্য রওয়ানা হয়েছেন। তিনি আসার পর লাশ দাফন করা হবে। এদিকে, সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply