নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শেরপুরে মহাসড়কে বাস থেকে ফেলে দিয়ে সিকৃবি শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মৌলভীবাজার আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী বাহাউদ্দীন এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মো. সোহেল আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার মৌলভীবাজার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী বাহাউদ্দীন হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও নবীগঞ্জ থানার ওসির উপস্থিত লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদনে দ্রুত ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’ মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে লিখিত আবেদন করে লাশ নিয়ে যায় এবং দাফন করে। মামলার পর আদালত কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত. গত ২৩ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কথা কাটাকাটির কারণে ওয়াসিমকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় হেলপার। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঘোরী মো. ওয়াসিম আফনানকে বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার আদালতের র্কোট ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল হাই চৌধুরী।
এর আগে মৌলভীবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সিকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড। মামলার আসামিরা হলেন, বাস চালক জুয়েল আহমদ (৪০), হেলপার মাসুক মিয়া (৩১) ও সুপারভাইজার শেফুল মিয়া (৩৫)। তবে সুপারভাইজার এখনও পলাতক রয়েছে।
নিহত ওয়াসিম সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ওয়াসিম নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামের ঘোরী মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভীনের ছেলে
Leave a Reply