স্টাফ রিপোর্টার: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নুরপুর গ্রামের রুহেনা আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের জননীর ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার মৃত্যু নিয়ে এলাকার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রুহেনার পরিবারের দাবি শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে
তার স্বামীও স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। রুহেনা আক্তার ওই গ্রামের গাড়ি চালক মানিক মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর পূর্বে শায়েন্তাগঞ্জ পৌরসভার চরমু আহমদ এলাকার মৃত জমির আলীর মেয়ে রুহেনা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় উপজেলার নূরপুর গ্রামের মসকুদ আলীর ছেলে মানিক মিয়া সাথে। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্ত্য জীবনে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। সম্প্রতি মানির মিয়া অন্য এক নারীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। তাদের দাবি রুহেনাকে বিয়ের আগে তাদের বিয়ে হয়। যা এতদিন গোপন ছিল। এর কিছুদিন পর আবার এক নারীকে গোপনে বিয়ে করে মানিক মিয়া। বিষয়টি রুহেনা গোপনে জেনে যায়। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। প্রায়ই মানিক মিয়া রুহেনাকে মারপিট করে। স্বামীর নির্যাতনে এক পর্যায়ে রুহেনা বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে স্বামী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মানিক মিয়া কারাভোগ করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দুই পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে রুহেনা আবার তার স্বামীর বাড়িতে যান। শুক্রবার সকালে রান্না ঘরের তীরের সাথে রুহেনার লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। তবে রুহেনার পরিবারের দাবি, রুহেনার সাথে তার স্বামীর প্রায়ই ঝগড়া হতো। সকালে রান্নাঘরে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তবে লাশটির পা মাটিতে লাগো ছিল বলেও জানান তারা। শায়েস্তাগঞ্জ থানা এসআই কমল কান্তি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে তার জিব্বা বাহির করা থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।
Leave a Reply