ডেস্ক রিপোর্টঃ জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) সিলেটের মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়ার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা সিলেট আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাযা অংশ গ্রহন করার জন্য লোকজন সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে। মাঠের ভেতের ব্যাপক লোকজনের সমাগাম হওয়া মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়্যা লাশের কফিনকে রাস্তা নিয়ে আসা হয়।
এসময় দেখা যায়, সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে চৌহাট্ট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। জানাযায় পৌছার জন্য রাস্তা তখন মানুষের ছুটাছুটি করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৫টা মাদরাসা থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহিৃ..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।দরগাহ মাদ্রাসার সহকারি মুহতামিম মাওলানা আসাদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটের সময় মাদ্রাসায় আসরের নামাজের অজু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাথে সাথে তাকে ওসমানী হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ’তাঁর মৃত্যুর খবর শোনে সিলেটে আলেম সমাজ সহ ছাত্র শিক্ষকের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাদ মাগরিব মরহুমের গোসলের পর দরগাহ মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে মরহুমকে রাখা হলে সিলেটের দূর-দুরান্ত থেকে সর্বস্তরের আলেম-উলামা ছাত্র সহ মুসল্লিরা তাকে এক নজর দেখতে ভীড় জমান। তিনি দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের সিলেট জেলার আমীর ছিলেন। তিনি দাওয়াতুল হকের আমির ও গুলশান আজাদ মসজিদেও খতিব আল্লামা মাহমূদুল হাসানের অন্যতম খলিফা।মুফতি আবুল কালাম জাকারিয়ার জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাগুয়া গ্রামে। পড়ালেখা করেন দরগাহ মাদরাসায়। সিলেট শাহজালাল রহ. দরগাহ মসজিদ ও আম্ভরখানা জামে মসজিদে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি খলিফায়ে মাদানি আল্লামা আব্দুল হক শায়খে গাজিনগরী রহ. এর জামাতা। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
Leave a Reply