নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ যদি বিশৃংখলা সৃষ্টি করে তারা রক্ষা পাবে না। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। যদি কেউ নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে আইনের মারপ্যাচে পড়ে তার পায়ের জুতার সুখতলি ক্ষয় হয়ে যাবে। গতকাল সোমবার বানিয়াচং শহীদ মিনার চত্ত্বরে মাদক, সন্ত্রাস, দাঙ্গাবিরোধী ও কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জের দুঃখ দাঙ্গা। চিরতরে এই দাঙ্গা নির্মূল করতে হবে। দেশীয় অস্ত্র ফিকলকে পাঠিয়ে দিতে হবে যাদুঘরে। দাঙ্গা যখন চিরতরে দুর হবে, তখনই সিলেট বিভাগের মডেল জেলা হবে হবিগঞ্জ। এই গর্ব করতে চাইলে গ্রাম্যদাঙ্গা নির্মূলে পুলিশকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। মাদকের সাথে কোনো আপস নেই। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ মোবারকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি, হবিগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (উত্তর সার্কেল) শৈলেন চাকমা ও উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো.জাফর মিয়া। বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হুসেন মাস্টার, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান, প্রেসক্লাব সেক্রেটারি তোফায়েল রেজা সোহেল প্রমূখ। সভায় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব হারুণ মিয়া, বড়বাজার কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
সুধীজনের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার আরো বলেন, হবিগঞ্জের দাঙ্গা নির্মূলে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দাঙ্গাবিরোধী প্লেকার্ড, ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো হবে। স্কুল-কলেজে দাঙ্গা ও মাদকবিরোধী শিক্ষাউপকরণ টাঙানো হবে। দাঙ্গাবাজের তালিকা করা হচ্ছে। যারা দাঙ্গাকে জিইয়ে রাখে তাদের তালিকাও করা হচ্ছে। তালিকা করা হচ্ছে পঞ্চায়েত কমিটিরও।
Leave a Reply