হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সিটকো গ্যাস পাম্প সংলগ্ন আঙ্গুরা বেগম ইঃমহিলা টাইটেল মাদ্রাসা এন্ড আল হিলালী ইসলামী একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল জালাল উদ্দিন হেলালীর হাতে যৌন লালসার শিকার হয়েছেন জনৈক ছাত্রী । এ ঘটনায় জালাল উদ্দিন হেলালী হুজুর কে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় আলেম সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার জনসাধারনের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাযায়, মিরপুর ইউনিয়নের ইন্টার ন্যাশনাল মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা জালাল উদ্দিন হেলালী প্রতিষ্ঠান চলাকালীন তদারকি করে আসছে মাদ্রাসা। সে উক্ত মাদ্রাসা প্রধান হওয়ার সুযোগে মাদ্রাসার ছাত্রীদের যৌন লালসার শিকারে পরিণত করে সর্বশান্ত করে আসছে। যা নাম গোপন রাখার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রী স্বীকারোক্তি দেন। এরই সুত্রধরে গত ১৫ফেব্রয়ারি মিরপুর বাজারে ভোক্তভোগীর অভিভাবকরা মৌলভীকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয়, তখন সময় সে দৌড়ে স্থানীয় সততা বানিজ্যালয় মার্কেটে গিয়ে রক্ষা পায়। রাতে স্থানীয় জনতা উক্ত মৌলভীকে আটক করার খবর ছড়িয়ে পড়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত লোক জমায়েত হয়। পরে উক্ত মৌলভীর অভিভাবকরা তাকে ছাড়িয়ে নেয়। উক্ত ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় মুরুব্বিয়ানরা আপোষে নিষ্পত্তি করেন এবং তাকে অর্থদন্ড জরিমানা করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, সে দীর্ঘদিন যাবত এই ছদ্ববেশী হুজুর লেবাসে এসব অপকর্ম করে আসছে। কতিপয় লোজনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের ফলে বার বার পার পেয়ে যাচেছ। এব্যপারে বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গীতিকার এম আর মামুন জানান, উক্ত মৌলভী দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষকতার নামে ছাত্রীদের ইজ্জত নষ্ট করে আসছে । সে জনৈক ছাত্রীকে মাদ্রাসা ছুটির পর কোচিং করার জন্য তার কোচিং সেন্টার মিরপুর বাজার হক ভিলায় নিয়ে যায় সেখানে সব ছাত্রীকে বিদায় দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে, ্র পরে ওই ছাত্রী কৌশলে মাদ্রায় গিয়ে তার অভিভাবকদের জানালে তারা তাকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয়। এ রকম অনেক ছাত্রীর সাথে সে এমনটা করে আসছে, ইজ্বতের ভয়ে কেহ মুখ খুলছেনা। সমাজের কিছু অসাধু গ্রাম্য মাতব্বরের কারনে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফ্রেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রশাসনের কাছে তার শাস্তির দাবী জানান। স্থানীয় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন লিখেছেন-দীর্ঘদিন ধরে উক্ত মৌলভীর নানা অপকর্মের কথা লোকমুখে শুনে আসছি। তাকে আটক করার পর তার লম্পট্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । তবে অভিযুক্ত মৌলানা জালাল উদ্দিনের সাথে মোবাইল জানতে চাইলে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সে বলে তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র ও নাটকীয় বলে সমাধান হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ । মাওলানা জালাল উদ্দিন হেলালী উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শফিয়াবাদ এলাকার আকবর হোসেনের ছেলে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছন তবে অর্থদন্ড জরিমানার বিষয় অস্বীস্কার করেন। অপর মুরুববী ফারুক মিয়া, জানান, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে তবে সে পরিশোধ করেছে ৫৬ হাজার টাকা, এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনা জানতে পারছি তবে কেহ অভিযোগ করে নাই অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply