আব্দুল কাদির সরকার :- দেশ স্বাধীন হলেও গোলগাঁও বাসী এখনও স্বাধীন হয়নি। এখানে একটি সেতুর অভাবে কমপক্ষে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ বন্দী জীবনযাপন করছে। এ যেন স্বাধীন পরাধীন। স্কুল, কলেজ, মক্তব, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী নৌকায় খোয়াই নদী পার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্টানে যেতে হয়। জরুরী সেবা অসুস্থ রোগী সাধারণ অনেকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেছে এমন তথ্যও আছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান, এমপি ও মন্ত্রীদের আশ্বাস কাগজ পত্রে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এখানকার নদীর অন্য প্রান্তের গ্রামগুলো থেকে রশিটানা নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। সুতায় টানা খেয়া নৌকায় চলে পারাপার। বিভিন্ন দপ্তরে তদবির আর অনুরোধ করেও কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৬ নম্বর চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোলগাঁও ও হাসারগাঁও গ্রামের খোয়াই নদীর খেয়াঘাট। এই ঘাট হয়েই গোলগাঁও এবং হাসারগাঁও অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক কৃষক ঝুঁকিসহ তাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে নদী পার হচ্ছেন। ¯’ানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ঘাটের দুই পারের মানুষকে জন্মলগ্ন থেকেই নদী পার হতে হয় খেয়া নৌকায়। দুই পারের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছোট খেয়া নৌকা। এই খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণ হলেই দুর্ভোগ কমে যেত তাদের। ¯’ানীয়রা জানায়, উপজেলার রাস্তা, সেতু, কালভার্ট ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। তবে গোলগাঁও খোয়াই নদীর হাসারগাঁও খেয়াঘাটটি কারও নজরে আসেনি। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হাসারগাঁও খেয়াঘাট। উত্তরে রয়েছে মহাশয়ের বাজার, সাটিয়াজুরী উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম গোলগাঁও খেয়াঘাট। এই দুই গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই খেয়াঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়।
Leave a Reply