স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় পিতা-পুত্র ও গৃহবধূসহ ৭ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে গুরুতর আহত বন্দর উল্লার পুত্র আলতাফ মিয়া (৬০), মাফিজ উদ্দীনের স্ত্রী হাসনা বেগম (৫০), আফিজ উদ্দীনের পুত্র আক্তার মিয়া (৩০) কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন করা হয়েছে। অপর আহত আলতাফ মিয়ার পুত্র স্কুল ছাত্র আশরাফুল মিয়া (১৭), নাসির মিয়া (১৩), আফিজ উদ্দীনের পুত্র আমরান হোসেন (১৮), ও মাফিজ উদ্দিনের পুত্র বদরুল মিয়া (১৯) কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। মামলা ও আহত সূত্রে জানা যায়, কুর্শি গ্রামের মৃত কৈছর উল্লার পুত্র মনর আলী ও তার ভাই কালা মিয়ার জমিতে ঘটনার কিছুদিন পূর্বে অর্থের বিনিময়ে ধান রোপনের কাজ করেন দিনমজুর আলতাফ মিয়া ও আক্তার মিয়া। এই মজুরীর টাকা নিয়ে তারা নানা টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে মুরুব্বীয়ানদের নিকট বিচার প্রার্থী হন দিনমজুর আলতাব মিয়া ও আক্তার মিয়া। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠু প্রতিপক্ষের লোকজন।
গত ২৪ আগস্ট পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে প্রতিপক্ষের লোকজন দিনমজুর আলতাব মিয়া ও আক্তার মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে অপর নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আহত আলতাফ মিয়ার ভাই মাফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে কুর্শি গ্রামের মৃত হুশিয়ার উল্লার পুত্র ইরান মিয়া ও তার পুত্র সেলু মিয়া, মৃত কৈছর উল্লার পুত্র মনর আলী, সুন্দর আলী, কালা মিয়া, ইরান মিয়ার পুত্র সোহাগ, শোয়েব ও মৃত হুশিয়ার উল্লার পুত্র মাজ উদ্দীন সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে গং আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ (৫) আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে আদেশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে নিয়মিত মামলায় রুজু করার জন্য নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনো এই আদেশ পৌছায়নি। আদেশ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply