নুর উদ্দিন সুমন ঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ চুনারুঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রীদের হোস্টেলে থাকার সুবিধার জন্য ৫তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ ঠিকাদারের অবহেলায় ২ বছর ধরে বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল কাজ শুরু করা হলেও এখনো ভবনের নিচে বালু ভরাট আর ভবনের চতুরসীমায় পিলার তুলা ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। কলেজ কত”প জানান, দ‚রবর্তী কলেজ ছাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের পর শিা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৭ কোটি ৪০ ল ২০ হাজার টাকায় ৫ তলা ফাউন্ডেশন সহ ৫ তলা বিশিষ্ট ও ১৫২ শয্যাবিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভবনের নির্মানের কাজ পান ঢাকা রামপুরার আক্তারুজ্জামান সম্রাট জেভি নামে এক ঠিকাদার । ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল কাজ শুরু করা হয়। দীর্ঘ ২ বছর অতিক্রম হলেও ভবন নির্মানের জন্য ভবনের চতুরসীমায় ঢালাই করে পিলার আর মাটির নিচে বালু দ্বারা ভরাট ছাড়া অন্য কোন দৃশ্যমান কাজ আজও করা হয়নি। ফলে বিল্ডিং এর কাজে ব্যবহারের জন্য রড, বালি সিমেন্ট অবহেলায় সাথে ফেলে রাখা হয়েছে। ব”ষ্টির পানির মধ্যে পড়ে আছে এসব সামগ্রী। রড গুলো মরিচা ধরার অবস্থা। এ রড দিয়ে কাজ করলে বিল্ডিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিবে। অপর দিকে পিলার গুলোতে শ্যাওলা জমেছে, নষ্ট হতে চলেছে পিলার আর ভবন ঘিরে ধরছে ঝোপ-জঙ্গল। আর আবাসন সুবিধা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে দ‚রবর্তী থেকে আশা অসহায় দরিদ্র সাধারণ ছাত্রীরা। জানা যায়, জেলার চুনারুঘাট উজেলার সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ হওয়াতে জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতেও কলেজটির বেশ সুনাম রয়েছে। তাই হবিগঞ্জ জেলাসহ অন্যান্য উপজেলার শিার্থীরা এখানে পড়ালেখা করার জন্য আসে।তবে এদের মধ্যে অনেক দ‚র-দ‚রান্তের ছাত্রী আছে যারা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাদের পে বাসা ভাড়া কিংবা মেসে থেকে পড়ালেখার খরচ চালানো সম্ভব নয়। ফলে পড়ালেখা করতে হিমশিমে পড়তে হ”েছ মেধাবী ছাত্রী ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের। কথা হয় কলেজ ছাত্রী রিপা আক্তারের সাথে তিনি বলেন, আমার বাসা শায়েস্তাগঞ্জ , চুনারুঘাটে আমার বাসায় থেকে প্রতি মাসে ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়।এতে করে আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পরিবারের পে কষ্ট হয়ে যায়। একই কলেজের শারমিন জানান, বাড়ি বাহুবলে , সেখান থেকে কাসে উপ¯ি’ত হতে প্রায় দিনই দেড়ি হয়ে যায়, যার ফলে প্রথম কাস গুলোতে থাকতে পারি না। এতে করে আমার পড়ালেখার তি হ”েছ। এ সময় প্রতিবেদকের কাছে অন্যান্য ছাত্রীরা কলেজ হোস্টেল ভবনের কাজ দ্রæত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে জোড় দাবি জানান। চুনারুঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজিদুর রহমান বলেন, ঠিকাদারের চরম অবহেলায় ছাত্রী হোস্টেলের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় একদিকে দ‚রবর্তী ছাত্রীরা থাকার সুবিধা পা”েছন না অপরদিকে রড সিমেন্ট সহ নির্মান সামগ্রী নষ্ট হ”েছ। চুনারুঘাট সরকারি কলেজের অধ্য মো: নবী হোসেন জানান, লোকসান এড়াতে ঠিকাদার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দি”েছন বর্তমানে ওই হোস্টেলের কাজ সম্পন্ন করতে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলেছি। আশা করছি, মহিলা হোস্টেলের কাজ দ্রæত শুরু হবে। হবিগঞ্জ শিা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম খান জানান, কলেজ কর্ত”প ভবন নির্মানের শুরুতেই ¯’ান নির্ধারণ নিয়ে সময় পেণ করায় যথাসময় কাজ শুরু হয়নি। এরই মধ্যে নির্মাণ কাজে দরপত্রের চুক্তি ম‚ল্য অতিক্রমে লসের আশঙ্কায় ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে ঈদের পর কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, কাজের বিলম্ব হওয়ায় শিা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদের পর কাজ চালু হবে। এবিষয়ে ঠিকাদার আক্তারুজ্জমান সম্রাট ভিজে এর মুটোফোনে কল করলে তিনি ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেন। তবে তার অধীন¯’ আল-আমীন জানায়, নির্মাণ উপকরণের দাম বাড়ায় আগের চুক্তিতে তাদের পোষা”েছ না। এ কারণে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।
Leave a Reply