স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী দিলাওর হোসেন (৪৩), শামীম আহমদ (৩২), আকিনুর রহমদ (৩০), দিদার আহমদ (২৬), রহিমা খাতুন (৪০), সাজু আহমদ (২৮), আব্দুল হাদী (৫৫), মাহের আহমদ (২৭), রাহিম চৌধুরী (২৮), শাহানুর মিয়া (৩০), ইমরান আহমদ (২৫), সোহেল আহমেদ(২৭) সেকুল মিয়া (২৯), তুহিন আহমেদ (২৪), হান্নান মিয়া (২৬), শরীফ আহমদ (২৫), সাইফুল মিয়া (৩১), গেদা মিয়া (৪০), আকবর আলী (৪৫) , রুহুউল্লাহ (৪৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- আগামী শুক্রবার গেদা মিয়া চৌধুরী ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সরকারি পাকা সড়কের উপর গেট স্থাপন করে।মঙ্গলবার সকালে ৮-১০ জন যুবক বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে হওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবী করে ভাংচুর করে গেইটের সরঞ্জাম ভেঙে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বুরহানপুর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট ও নবীগঞ্জ ভর্তি করা হয়েছে। গুলাগুলি প্রসঙ্গে স্থানীয়দের ওসি জানান- প্রত্যদক্ষর্শীরা জানিয়েছেন সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শুনা গেছে। এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।
Leave a Reply