ডেস্ক রিপোর্টঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র নির্বাচন-২০১৯ আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ থেকে ১১টি পদের বিপরীতে সভাপতি-সম্পাদকসহ ৯টি পদে জয় লাভ করেছে। এতে সভাপতি হিসেবে ১৫৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস.এম সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার দিবা গতরাত ১২টায় ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. আসিফ ইকবাল এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ১৭৫ ভোট পেয়ে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. দীপেন দেবনাথ, কোষাধ্যক্ষ পদে ১৭৫ ভোট পেয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও পলিমার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহিবুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক পদে ১৮৫ ভোট পেয়ে ফুড এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আফজাল হোসেন নিবার্চিত হয়েছেন।
ছয়টি সদস্য পদের বিপরীতে ৪টি পদে একই প্যানেল থেকে ১৬৭ ভোট পেয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল গণি, ১৫৩ ভোট পেয়ে এফইটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমেষ সরকার, ১৬৫ ভোট পেয়ে জিইবি বিভাগের ড. মো. আশরাফুজ্জামান, ১৫৫ ভোট পেয়ে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল বাকী নিবার্চিত হয়েছেন।
আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ প্যানেল থেকে ২টি সদস্য পদে ১৯৯ ভোট পেয়ে সিভিল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: জহির বিন আলম এবং ১৪৭ ভোট পেয়ে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন নিবার্চিত হয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’ থেকে কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. আসিফ ইকবাল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তিনটি প্যানেলে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ১১ টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনটি প্যানেলের বাহিরে স্বতন্ত্রভাবে কেউ অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান, আইপিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন আজিজ খাঁন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী কাওসার। এ বছর মোট ভোটার ৫৫০ জন শিক্ষক এর মধ্যে ৪০২ জন ভোট প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের দুটি ও বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
Leave a Reply