স্টাফ রিপোর্টারঃ– জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেশের পথে-প্রান্থরে প্রচার হলে বাঙালি জাতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে উজ্জীবিত হবে- সেই ভয়ে দীর্ঘ ২৬ বছর ভাষণটি প্রচার করতে দেয়নি বিএনপি। স্বাধীনতা বিরোধীরা সেই ভাষণটি আড়াল করতে চেয়ছিল। স্বাধীনতার ইতিহাসকে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
গতকাল সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেছেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি।
তিনি আরও বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ হলেও ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণ ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। আর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল জাতির পিতার দেশে ফেরার মাধ্যমে। এমপি আবু জাহির বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের তিনটি ধাপে বাঙালি জাতির ২৩ বছরের বঞ্ছনার কথা, সত্তরের নির্বাচন এবং ইয়াহিয়ার টালবাহানার কথা তুলে ধরে তিনি নির্দেশ না দিতে পারলেও যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য বাঙালি জাতিকে আহবান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা যুগে যুগে মহান বিজয়ের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু সফল হতে পারেনি। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের পথে-প্রান্থরে প্রচার হচ্ছে ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ। খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন হৃদয়ে ধারণ করে ভাষণটি।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্সী আব্দুর রহিম জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও মশিউর রহমান শামীম প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার মোঃ শোয়েব শাত-ঈল ইভান।
এর আগে, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি আর্পণ করেন জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply