প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে বাহুবল উপজেলার সরব সংগঠন ‘নবজাগরণ সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন’ মানবতার আরেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা সদর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর মোঃ তাজুল মিয়ার মাত্র ৮ বছরের কন্যাশিশু মোছাঃ ঝর্ণা আক্তার শিশু গত জানুয়ারি মাসে ধান সিদ্ধ দেওয়ার উনুনে পরে গিয়ে শরিরে আগুন লেগে হাতের দুই বাহু, বুকের পাঁজর ও পেটের মাংশ সহ বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়। পরববর্তীতে সাময়িক চিকিৎসা শেষে একসময় টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। দিনমজুর তাজুল মিয়া পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত দিতেই যার হিমসিম খেতে হয় তার কাছে এই চিকিৎসার খরচ বহন করা স্বপ্ন মাত্র। তাই অল্প কয়েকদিনের অপূর্ণ চিকিৎসা শেষে বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাজুল মিয়া। তারপর থেকে থেমে থেমে কয়েকজনের কিছু আর্থিক সহায়তায় চিকিৎসা চললেও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হয়ে উঠেনি। এভাবেই ঝলসে যাওয়া শরীরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে ছোট্ট শিশু ঝর্ণা আক্তার। দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় ও বিনা যত্নে এই ক্ষত আরও ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। ডাক্তারের পরামর্শ অতিদ্রুত দুটি অপারেশন না করলে হয়তো আরও ভয়ানক রুপ নিতে পারে ঝর্ণা আক্তারের বুকের পাঁজরের বিশাল ক্ষত। দিন দিন সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে অগ্নিদগ্ধ শিশুকন্যা ঝর্ণা।
এই খবর পেয়ে নবজাগরণ সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন এর সদস্যদের পক্ষ থেকে কিছু মানবিক সহযোগিতা নিয়ে ১১/০৭/২০২১ তারিখ রোজ শনিবার ঝর্ণা আক্তারের বাড়িতে হাজির হয় নবজাগরণ এর স্বেচ্ছাসেবকরা। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারে মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে উদ্বাস্তু দিনমজুর তাজুল মিয়া এখন ঋণে হাবুডুবু খাচ্ছেন। নিজেদের অনবিজ্ঞতার কারণে অনেক সময় টাকা দিয়েও সঠিক চিকিৎসা পান নি তারা। তাই তারা এখন শুধু চিকিৎসার অর্থের অভাবেই ভূগছেন না, বরং অভিজ্ঞ লোকের অভাবেও ভূগছেন। ঝর্ণার পরিবারের মুখে এসব কথা শুনে নবজাগরণ এর স্বেচ্ছাসেবকরা সিদ্ধান্ত নেয় অগ্নিদগ্ধ ঝর্ণার পরবর্তী চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিবে তারা। নিজেদের ও কিছু বিত্তশালীদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ করে তারা নিজ দায়িত্বে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে পরিক্ষা-নিরিক্ষা ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা করাবে নিজ দায়িত্বে। তাদের এই আস্বস্ত হয়েছেন ঋণে জর্জরিত দিনমজুর তাজুল মিয়া। তিনি শুধু তার মেয়ের পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা চান। নবজাগরণ এর স্বেচ্ছাসেবকরা এব্যাপারে অনেক উৎসাহী, তাদের ভাষ্যমতে তাদের প্রচেষ্টায় যদি মৃত্যু পথযাত্রী একটি শিশু সুস্থ হয়ে ফিরে আসে তবে তারা তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করবে। তার সাথে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
Leave a Reply