এমসি কলেজে গণধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাইফুর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রণজিৎ সরকার বলয়ের অনুসারী সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলাম সমর্থীত ছাত্রলীগ কর্মী। সে বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহমিদ মিয়ার পুত্র।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (র:) থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী।
এর আগে ঘটনার শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর মধ্যরাতে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিজান পরিচালনা করে সাইফুর রহমানে রুম থেকে পুলিশ ১ টি পাইপগান, ৪ টি রামদা, ১ টি চাকুসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করে। পরদিন ধর্ষণ মামলার সাথে সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর, শাহ রনি, অর্জুন, মাহফুজ, রবিউল ও তারেক।
এদিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুরের রুম থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুরকে আসামি করে অস্ত্র আইনে এ মামলা দায়ের করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করে। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply