প্রথমসেবা ডেস্কঃ- মানুষের অসচেতনতার সুযোগে একদল অসাধু দোকানি মেয়াদহীন গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল দেদার বিক্রি করে চলেছে। আর বোতলের মেয়াদ নির্ণয় পদ্ধতি অনেকেরই অজানা।
এ জন্য শহরের নতুন ফ্ল্যাট বাসাগুলোয়ও অনেক সময় মেয়াদোত্তীর্ণ বোতল ব্যবহৃত হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাসের বোতলে আপনার সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। একটা মেয়াদহীন গ্যাসের বোতল ঘরে রাখা মানে একটা টাটকা বোমা পুঁতে রাখা।
মেয়াদোত্তীর্ণ বোতলে একটুতেই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই গ্যাসের বোতল ঘরে তোলার আগে অবশ্যই মেয়াদ যাচাই করে নেয়া কর্তব্য। একটি সিলিন্ডার বোতল সাধারণত পাঁচ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। বোতলের উপরিভাগে একটি ইংরেজি বর্ণমালাসহ দুটি সংখ্যা দেয়া থাকে। এটিই মূলত বোতলটির মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ।
আর প্রতিটি বর্ণমালা ক্রমান্বয়ে ইংরেজি মাসগুলোকে ইঙ্গিত করে। একটি বর্ণমালা দিয়ে তিন মাসের শেষ মাস বোঝায়। যেমন, অ বর্ণ দিয়ে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস, ই বর্ণ দিয়ে এপ্রিল থেকে জুন মাস, ঈ বর্ণ দিয়ে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, উ বর্ণ দিয়ে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ইঙ্গিত করে।
আর সংখ্যা দুটি দিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণের সাল বোঝায়। যেমন: তিনটি বোতলে যথাক্রমে লেখা A-19, B-20, C-21, D-22 তাহলে প্রথমটির মেয়াদ ২০১৯ সালের মার্চ মাসে শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয়টির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হল। তৃতীয়টির মেয়াদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। চতুর্থটির মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। অর্থাৎ প্রথম দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ আর শেষ দুটির মেয়াদ ১-২ বছর রয়েছে।
নিজে সতর্ক হোন, অন্যকে সতর্ক করুন। করোনার এ দুঃসময়ে হাসপাতালগুলোয় সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দুরূহ ব্যাপার। তাই অসাবধানতাবশত গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাসপাতালমুখী যেন না হতে হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
Leave a Reply