নুর উদ্দিন সুমন : জেলার শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে দু’পা হারালো শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমীর চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী নদী আক্তার (১০)। শুধু তাই নয় সে এখনও রয়েছে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এছাড়াও ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে নদীর পরিবার।,এ বিষয়ে ৫ জুলাই পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর পিতা মোঃ রফিক মিয়া। সে নিজামপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার মৃত এয়াকুব উল্লাহর পুত্র। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রফিক মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ ষ্টেশন রোড এলাকায় একটি ছোট দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত ১৫ মে সন্ধ্যায় তার কিশোরী কন্যা নদীসহ তার এক সহপাঠী পার্শ্ববর্তী মর্জিনা খাতুন নামে এক মহিলার মালিকানাধীন ভবনের ছাদে বেড়াতে যায়। এসময় বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে আনা খোলা অবস্থায় ছাদে ফেলে রাখা তারের সাথে জড়িয়ে যায় ওই ছাত্রী । পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল পরে সিলেট হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুটি পা হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের শরনাপন্ন হয়ে ব্যার্থ হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ জুন এসআই ওয়াদুদ ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত করেন। তদন্ত করার পরও মামলা রুজু হয়নি। এমতাবস্থায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। তাই বিষয়টি আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তির পর ওই শিশুর জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকরা তার দুটি পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলেন। শিশুটি মৃতুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মেধাবী ছাত্রী বাঁচতে চায়। পিতার আকুতি তবে টাকার অভাবে ওই ছাত্রীর চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হাওয়ার উপক্রম বলে জানিয়েছে তার পিতা। নদীর পিতা রফিক মিয়া জানান, তার মেয়ের চিকিৎসা বাবদ এখন পর্যন্ত প্রায় প্রচুর টাকা খরচ গিয়েছে। আরও অনেক টাকা দরকার গরিব হওয়ায় এত টাকা তাদের পক্ষে সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মেয়কে বাঁচাতে আইনগত সহযোগীতা ও চিকিৎসা সহায়তা চাইছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছে।
Leave a Reply