শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ।। হবিগঞ্জের বাহুবলে মসজিদে নামাজ বন্ধে মাইকিং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মুসল্লীয়ান।শুক্রবার (২০ মার্চ)বিকেলে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার মাইকিং করে উপজেলার সকল মসজিদে ফরজ ব্যতিত অনান্য নামাজ বন্ধের আদেশ দেন। তার নির্দেশনায় মাইকিংয়ে বলা হয়, কেউ এই আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
এরই প্রতিবাদে মাগরিবের নামাজের পর বাহুবল উপজেলা সদরের হাজারো মুসুল্লিয়ান বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মরতে হলে মসজিদে নামাজ পড়েই মরব বলে মুসল্লীরা শ্লোগান দেন। মাগরিব থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত মসজিদে নামাজ বন্ধ কেন এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে থানা ও ইউএনও অফিসের সামনে শ্লোগান দিতে থাকে মুসল্লীরা। এসময় ইউএনওর বিরুদ্ধেও শ্লোগান দেয়া হয়। রাত ৮ টার দিকে বাহুবল নবীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মসজিদে নামাজ চলবে। তবে অসুস্থ ব্যক্তিরা মসজিদে না এসে নিজ বাসা বাড়িতে নামাজ আদায় করতে কোন বাধা নেই। তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মুসল্লীরা শান্ত হন।
এ মিছিলে নেতৃস্থানীয় কোন আলেম ওলামাকে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য,চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।করোনা থেকে বাঁচতে সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রকমের দিকনির্দেশনা।ধূলোবালিতে যাওয়া যাবেনা,মাস্ক পড়তে হবে,গণজমায়েত থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কারণে ইউএনও নামাজ বন্ধে মাইকিং করিয়েছিলেন।কিন্তু ওই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই সিদ্ধান্ত মানেননি।তাঁরা বার বার বলেছেন,মরতে যদি হয় মসজিদেই মরবো,তবুও মসজিদে নামাজ পড়েই মরবো।
Leave a Reply