নুর উদ্দিন সুমন : রশিদ ছাড়া অধিক মুনাফায় পেঁয়াজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমদানীকৃত নতুন পেয়াজ বাজারে আসার পর বেশী দামে কোন ভোক্তার নিকট পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে না। তবে অধিক মুল্যে বিক্রি করতে হলে সঠিক মেমো থাকতে হবে। প্রতিটি দোকানদার পেয়াজ ক্রয়ের মেমো সংরক্ষন করতে হবে, কোন ভোক্তার সাথে প্রতারনা করা যাবে না।নিয়মিত অভিযান চলবে।সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করা যাবে না।কোন কৃত্রিম সংকট তৈরী করা যাবে না এমনকি মজুদও করা যাবেনা । যদি কেহ অনিয়ম করে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার করে উপরোক্ত কথা তিনি বলেন। কিন্তু পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫৫ টাকার বেশি বিক্রি করলেই জরিমানা- এ সংক্রান্ত একটি নিউজ বিভিন্ন পোর্টালে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। অথচ যার নির্দেশ বলে এ খবর পরিবেশন করা হচ্ছে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
খবরটি ভুয়া আখ্যায়িত করে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত ফাতিমা শশী। তার নাম ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি তার।
বিভিন্ন পোর্টালে প্রকাশিত এ খবর মিথ্যা মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে চুনারুঘাটের আসামপাড়া বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করি। এসময় ভোক্তা অধিকার আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া পাইকারি বিক্রেতাদের পেঁয়াজ কেনার রশিদ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। রশিদ অনুযায়ী অধিক মুনাফায় পেঁয়াজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। এখানে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে বলে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নুসরাত ফাতিমা বলেন, ভুয়া বক্তব্য দিয়ে কেন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
রোববার (১৭ নভেম্বর) চুনারুঘাটের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতিমা শশীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন পোর্টাল সংবাদ পরিবেশন করে। যেখানে ১৫০-২৫০ টাকার নিচে কোনোভাবেই পেঁয়াজ মেলা সম্ভব হচ্ছে না সেখানে এ ধরনের খবর বিভ্রান্তিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি প্রচার হলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply