মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হবিগঞ্জে উপদেষ্টা ফরুক ই আজম বীর প্রতীক ॥ সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানিত হন সে চেষ্টা করা হবে শহরে যুবককে ছুরিকাঘাত বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন

সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় বাবাসহ দুই ছেলের যাবজ্জীবন

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯
  • ৩৭৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আলোচিত শিক্ষার্থীর রুবেল হত্যা মামলায় এক বাবা ও তার দুই ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের মৃত জোয়াহের আলীর পুত্র মীর্জা হাছন আলী ও তাঁর দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়া। এছাড়াও এই ঘটনায় মীর্জা মশ্রব আলী, নাছির উদ্দিন খান, শায়েস্তা মিয়া ও বাবুল মিয়া নামে ৪ জনকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১ টায় এই আদেশ প্রদান করেন সুনামগঞ্জের দায়রা ও জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলা সুত্রে জানা যায়- ২০০০ সালের ২০ আগস্ট রাতে তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের রনজিৎ পুরকায়স্থের জ্যেষ্ঠ পুত্র রুবেল পুরকায়স্থকে পড়ার টেবিল থেকে কাজের কথা বলে বাড়ীর বাহিরে নিয়ে যায় প্রতিবেশি মীর্জা হাছন আলীর ছেলে নোমান মিয়া। মধ্যরাত হওয়ার পরও ছেলে না আসায় ঘুমিয়ে পড়ে রনজিৎ ও তাঁর স্ত্রী। রাত ২ টায় বাহিরে চোর চোর চিৎকার শুনে রনজিৎ ও স্ত্রী উষারাণী এগিয়ে গেলে তখন প্রতিবেশি আলীর পুত্র মীর্জা হাছন আলী ও তাঁর দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়া চোর অপবাদ দিয়ে ছেলে রুবেলকে খুনের হুমকি প্রদান করে শাসিয়ে যান। এসময় রনজিৎ ও স্ত্রী উষারাণী ছেলে রুবেলের রক্তাক্ত দেহ পুকুর পারে পড়ে থাকতে দেখেন।

গুরুতর আহত রুবেল তাঁর মা বাবাসহ স্বাক্ষীগণের কাছে বলেন চোর অপবাদ দিয়ে প্রতিবেশি মীর্জা হাছন আলী ও তাঁর দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়া দারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে তাকে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে গেলে রুবেলকে তাহিরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় পরদিন চিকসা গ্রামের মৃত জোয়াহের আলীর পুত্র মীর্জা হাছন আলী ও তাঁর দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়াসহ ৭ জনকে আসামি করে নিহত রুবেলের পিতা রনজিৎ বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মীর্জা হাছন আলী ও তাঁর দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়ার বিরুদ্ধে জার্জশীট দাখিল করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।

সোমবার স্বাক্ষ প্রমাণ গ্রহন ও শুনানী শেষে দন্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক।

এসময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এডিশনাল পি.পি সোহেল আহমদ সইল মিয়া, বাদী পক্ষের আইনজীবী রবিউল লেইস ও আসামী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জামিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com