ডেস্ক রিপোর্টঃ পুরান ঢাকার চকবাজারে ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ ঘটনায় ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। চার তলার ওই ভবনে আগুন লাগার পর তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি ভবনে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে রাত ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনো তারা কাজ করছেন। ওই এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি অস্থায়ী কমান্ডপোস্ট বসিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ভোর ৪টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয় অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জন মারা গেছেন। ওই সময়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৪১ জন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল জুলফিকার বলছেন, ভেতরে আরো লাশ থাকতে পারে। এ কারণে তল্লাশি অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে। স্থানীয়রা জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল। সেখানে রাখা গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই ভবনের পাশে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল। যার প্রত্যেকটিতে একাধিক গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে। আগুন লাগার পর থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরু গলি হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছাতে পারেনি। চকবাজার থানার সামনে গাড়ি রেখে সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে পানি নেওয়া হয়। আশপাশের ভবনের পানির ট্যাংক থেকেও আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি নেওয়া হয়।
সুত্রঃ আলোকিত বাংলাদেশ
Leave a Reply