মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

সুরমা পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটিকে দৃষ্টিনন্দন করতে কাজ শুরু

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৩ বার পঠিত

খন্দকার আলাউদ্দিন : এবার মাধবপুর উপজেলায় আরেকটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিকে দৃষ্টিনন্দন বানাতে কাজ শুরু করছেন হবিগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গত সপ্তাহে উপজেলার সুরমা চা-বাগান এলাকায় পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটির কাজ শুরু করা হয়েছে। ব্যারিস্টার সুমন বর্তমানে আমেরিকা অবস্থান করছেন।
কিন্ত তার নির্বাচনী এলাকায় একের পর এক উন্নয়নমুলক কাজ চলমান রয়েছে। গত ব”হস্পতিবার সকালে ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবির সাথে একটি নতুন ডিজাইন করা একটি ছবিও পোস্ট করেন। ওই ছবির আদলে নতুন রূপে পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির কাজ হবে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আরেকটি ছাউনিকে দৃষ্টিনন্দন করতে আবারও কাজ শুরু করলেন ব্যারিস্টার সুমন। জানা গেছে, ঢাকা সিলেট পুরাতন মহাসড়কের যান চলাচলের সময় দীর্ঘদিন আগে মাধবপুর উপজেলার চা বাগান অধ্যুষিত সুরমা চা-বাগান মোড়ে স্থানীয় সরকারি বিভাগ একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ সড়কে দূরপাল্লার যান চলাচল না করলেও চুনারুঘাট মাধবপুরের লোকজন এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও চা বাগানকে ঘিরে পর্যটকদের চলাচল বেড়েছে। দুই উপজেলায় চুনারুঘাট- মাধবাপুরে রামগঙ্গা ও সুরমা চা-বাগানে মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকা যাত্রী ছাউনিটি স¤প্রতি নজরে আসে সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। তিনি লাইভে এসে ঘোষণা দেন এটিকে পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তরের। ঘোষণার পর দিনই কাজ শুরু হয় রামগঙ্গা ছাউনিটির। এটি আর্কিটেক্ট দ্বারা পরিকল্পনা করে মাত্র এক সপ্তাহে নির্মাণকাজ শেষ হয়। চারুকলার শিার্থীদের দিয়ে আঁকা হয় চা শ্রমিকদের জীবনচিত্র। চা পাতা চয়ন এবং তাদের জীবনচিত্র আঁকা শেষ হলে তিনি এটি উদ্বোধন করেন। এবার শুরু করেন তারই নির্বাচনী এলাকা মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা-বাগানের ছাউনিটির। বর্তমানে এটির কাজ শুরু হয়েছে। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নির্বাচনী এই দুই উপজেলা (চুনারুঘাট ও মাধবপুরকে) পর্যটনের নগরীতে রূপান্তর করতে চাই। ইতিমধ্যে আপনার দেখেছেন চুনারুঘাট উপজেলার রামগঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির কাজ শেষ করেছি। পরিত্যক্ত এ যাত্রী ছাউনিটি আমার নজরে আসার পর মনে হলো এখানে অনেক পর্যটক আসে। এটা খারাপ দেখা যায়, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই প্রথমেই চুনারুঘাট থেকে মাধবপুর পর্যন্ত যাত্রী ছাউনিগুলোকে পর্যটনের উপযুক্ত করে তুলব। সেই হিসেবে এটিকে আর্কিটেক্ট দ্বারা পরিকল্পনা করে আমার নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে এটি নির্মাণ করেছি। দেখলাম প্রতিদিনই পর্যটকরা আসেন ছবি তুলেন। এটা দেখে মনে সুখ পাই। বর্তমানে এখন মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা-বাগানের আরেকটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির কাজ শুরু করিছ। আশা করি কিছু দিনের ভেতরে এটিও পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com