চুনারুঘাট প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কিশোরীরকে ফুসলিয়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার পর ওই কিশোরী (১৫)কে রাতভর দলবেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৮মার্চ) বিকেলে ভিকটিম ওই কিশোরীকে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তের দুধপাতিল গ্রাম থেকে উদ্ধার কওে গুরুতর অসুস্থা অবস্থাায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিম, পুলিশ ও স্থাানীয়রা জানান উপজেলার ডেউয়াতলী গ্রামের তৌফিক মিয়ার স্ত্রী আয়েশা খাতুন(৪৮) ৩হাজার টাকার চুক্তিতে আব্দুল হান্নানের নিকট সমজাইয়া দেয় ওই কিশোরীকে। আব্দুল হান্নান তার পুর্ব পরিচিত দুধপাতিল কামরুলের বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। দুধপাতিল থেকে স্থাানীয় টমটমচালক আব্দুর রহমানের মাধ্যমে দুধ পাতিল গ্রামের পুর্ব দিকে ছড়ার পাড়ে নিয়ে কামরুল (২৫), আব্দুল হান্নান (৩২), আব্দুর রহমান (৪২), নাসীর (২২), সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইজন মিলে জোরপুর্বক দলবেঁধে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ভিকটিম ও স্বজনরা জানায়। ১৮ মার্চ সকালে স্থাানীয় লোকজন কিশোরীকে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থাানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরী মা বাদী হয়ে কামরুলকে প্রধান আসামী করে চুনারুঘাট থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: আলী আশরাফের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম সহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত কামরুলকে গ্রেফতার করেন। কামরুল উপজেলার দুধ পাতিল এলাকার আব্দুস সামাদ ওরফে লুদাই মিয়ার ছেলে। আসামী কামরুলের দেয়া তথ্য মতে শনিবার সকালে পাচাকারী নারী আয়েশা খাতুন(৪৮)কে শায়েস্তাঞ্জের পুরানবাজার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম । দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমেদ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে প্রধান আসামি কামরুল। বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করে ১৯ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ টায় কামরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম জানান, কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং আসামি কামরুল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন কিশোরী অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আশ্রয় নেয় আয়েশার নিকট। আয়েশা এ সুযোগে কিশোরীকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায়। বেশ কিছু দিন ধরে আয়েশা শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসা করে কিশোরীকে কাজ দেয়ার কথা বলে কাজে না দিয়ে নিজ বাসায় রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। এমনকি বিভিন্ন স্থাানে অর্থের বিনিময়ে কিশোরীকে রাতভর চুক্তিভিত্তিক বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও আয়েশার বিরুদ্ধে এলাকায় অনৈতিক কাজ করার নানা অভিযোগ রয়েছে। আয়েশা শায়েস্তাগঞ্জের পুরান বাজারে বাসাভাড়া করে বিভিন্ন যুবতী ও কিশোরীদের দিয়ে তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে পতিতাবৃত্তি করে আসছে। আয়েশা উপজেলার ডেউয়াতলী এলাকার তৌফিক মিয়ার স্ত্রী।
Leave a Reply