নুর উদ্দিন সুমন : তফসিল ঘোষণা না হলেও জেলার চুনারুঘাট শহরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। কে হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী তা নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাররাও বেশ উৎসাহী। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মাঠে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে পরিচিত মুখ হিসেবে বেশ আলোচনায় উপজেলা যুবলীগের সি: সহ সভাপতি এডভোকেট শহীদুল ইসলাম । তিনি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। আগামী নির্বাচনে পৌরসভা থেকে তিনিই একমাত্র প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, চুনারুঘাট পৌরবাসীর কাছে ক্লিনম্যান হিসেবে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক পরিচিতি মুখ এডভোকেট শহীদুল ইসলাম । স্থানীয় আওয়ামীলীগের কয়েজন নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রলীগের হাত ধরেই যার রাজনৈতিক জীবন শুরু, সেই হাস্যোজ্জ্বল ও মিষ্টভাষী এডভোকেট শহীদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকের লড়াইয়ে নেমেছেন। যার রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তার বাবা মরহুম হাজ্বী মো: আব্দুস ছাত্তার ছিলেন আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী।
তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ এডভোকেট শহীদুল ইসলামের । পৌরবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন পূরণে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করছেন তিনি।
একান্ত সাক্ষাৎকালে এডভোকেট শহীদুল ইসলাম জানান. ১৯৮৭ সালে ডিসিপি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৮৯ সালে চুনারুঘাট সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস শেষে ১৯৯২ সালে মৌলভীবাজার থেকে বিএ পাশ করেন। এর পর ১৯৯৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন। ন্যাশনাল ইউনিভারসিটি থেকে ১৯৯৬ এলএলবি সম্পন্ন করেন। ঢাকা ল স্টুডেন্ট ফেডারেশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন। কিন্তু থেমে থাকেনি তার ছাত্রলীগের রাজনীতি।
কলেজে গিয়েও তিনি শুরু করেন ছাত্র রাজনীতি। ডাকসুর ভিপি সুলতান মন্সুর আমলেও তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। চুনারুঘাট কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অন্যতম সংগঠক এডভোকেট শহীদুল ইসলাম। কলেজে দীর্ঘদিন রাজনীতি করার পর ১৯৮৮ সালের চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি ও শ্রীমঙ্গল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তী চুনারুঘাট উপজেলা যুবলীগের সি: সহ সভাপতি নির্বাচিত হন এডভোকেট শহীদুল ইসলাম । দীর্ঘ ৩৩ বছর রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন এই নেতা। গণআন্দোলনে ব্যাপক হামলা ও মামলার শিকার হন এডভোকেট শহীদুল ইসলাম । চুনারুঘাটের এই কৃতি সন্তান বর্তমানে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সি: সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এডভোকেট শহীদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভায় শিক্ষা বিস্তার, মাদকমুক্ত, শতভাগ স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা ও সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণের মাধ্যমে চুনারুঘাট পৌরসভা একটি মডেল পৌরসভায় উন্নীত করবেন। এ জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
Leave a Reply