দিলোয়ার হোসাইন, বানিয়াচং: বানিয়াচঙ্গে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিত করণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক “সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।মঙ্গলবার ২৪ নভেম্বর সকাল ১১টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সেমিনারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও বাস্তবায়ন বিষয়ে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মাসুদ রানা, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ইসরাত জাহান ঊর্মি, থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমরান হোসেন সহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও কমিটির সদস্যবৃন্দ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত।
” প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অাব্দুল মজিদ খান বলেন, একজন নাগরিকের বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। এর কিছু প্রদান করে থাকে পরিবার, কিছু করে রাষ্ট্র। তবে অন্যান্য অধিকার থেকে ভোক্তা অধিকার কিছুটা ভিন্ন।
যিনি উৎপাদিত পণ্য ও সেবা চূড়ান্ত ভোগের জন্য ক্রয় করেন, অর্থনীতির ভাষায় তাকে ভোক্তা বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যিনি কোনো পণ্য ক্রয় করেন কেবল নিজে ভোগ করার জন্য; তিনিই ভোক্তা।
একজন ব্যক্তি যখন কোনো পণ্য ক্রয় করেন, তখন তার জানার অধিকার রয়েছে পণ্যটি কবে উৎপাদিত হয়েছে, কোথায় উৎপাদিত হয়েছে এবং এর কাঁচামাল কী কী, মূল্য কত ইত্যাদি।
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে একজন বিক্রেতা বাধ্য। যদি কোনো বিক্রেতা এসব প্রশ্নের উত্তর না দেন বা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তখন আইন অনুযায়ী তাতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়। জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকার ৮টি।
এগুলো হল- মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার, তথ্য পাওয়ার অধিকার, নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়ার অধিকার, পছন্দের অধিকার, জানার অধিকার, অভিযোগ করা ও প্রতিকার পাওয়ার অধিকার, ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভের অধিকার, সুস্থ পরিবেশের অধিকার।
পণ্য ক্রয়ে প্রতারণার হাত থেকে ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে বহুল প্রতীক্ষিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের ফলে কোনো ভোক্তা পণ্য ক্রয়ে পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, মূল্যসহ কোনো বিষয়ে প্রতারিত হলে তার প্রতিকার পেয়ে থাকেন। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই গুরুত্বপূর্ণ আইনটি সম্পর্কে অবগত নয়। এমনকি শিক্ষিত সমাজের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তির মধ্যেও এই আইন সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই। এই আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকার দরুন প্রতারিত হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে।
তাই ভোক্তাকে এই আইন সম্পর্কে জানতে হবে এবং নির্ধারিত পন্থায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে। তাহলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার সংখ্যাও কমে আসবে।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধে মাস্ক পরিধানবিহীন পণ্য সামগ্রী বিক্রয় না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
Leave a Reply