করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ প্রদান ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
আদালতে সাহেদের আরো চার মামলায় ৪০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। এর সঙ্গে অস্ত্র মামলায় আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে র্যাব। সব মিলিয়ে ৫০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয় তাকে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু জানান, উত্তরা পশ্চিম ও উত্তরা পূর্ব থানার চার মামলার প্রতিটিতে সাহেদকে ১০ দিন করে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রতারণার মামলায় সাহেদ করিম ডিবির কাছে ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। মামলার তদন্তভার ডিবি থেকে র্যাবে হস্তান্তরের পর ডিবিতে ৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি ৪ দিন র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করে।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রতারণা মামলার ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ সাহেবকে মহানগর দায়রা জজের আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাকে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে র্যাব। এই রিমান্ড আদালত মঞ্জুর করলে সাহেবকে খুলনায় র্যাব-৬ এ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, ৬ জুলাই র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি টিম উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে করোনার ভুয়া সনদ প্রদান ও হাসপাতালে চিকিৎসায় প্রতারণার বিষয়টি শনাক্ত করে।
এ ঘটনার পর সাহেদ পালিয়ে যান। ১৭ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই দিন তাকে ঢাকায় এনে উত্তরার তার বাসায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা উদ্ধার করে।
Leave a Reply