নিজস্ব প্রতিনিধি।। জেলার চুনারুঘাটে ত্রাণের অনিয়ম বিষয়ে কথা বলায় সবুজ মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সবুজ মিয়া পাইকুড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের শাকির মোহাম্মদ বাজারের রেললাইন সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত সবুজকে চুনারুঘাট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। আহত সবুজ মিয়া বলেন, আমাদের এলাকার একাধিক হতদরিদ্ররা ত্রাণ না পাওয়ায় আমি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে প্রকৃত লোকজনকে ত্রানসামগ্রী দিতে আহবান করেছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের অনুসারীরা আমাকে ডেকে নেয়। আমি রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছ মাত্রই পুর্ব পরিকল্পপিতভাবে চেয়ারম্যান অনুসারী শামীম , আবিদ, রিপন তারামিয়াসহ ৭/৮ জনের ন্ত্রাসী আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। আমি প্রাণভয়ে ওদের হাত থেকে শোর চিৎকার করলে তারা দেশীয় রামদা ও পিকলো দিয়ে আমার ডান পা ও ডান হাতের আঙ্গুলে মারাত্মকভাবে জখম করে এতে ১১টি সেলাই দেয়া হয়েছে ।
সবুজ মিয়া আরো বলেন, সরকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে বন্টন না করে শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দের লোকজনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। এতে করে প্রকৃত অসহায় মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছে ত্রাণ প্রাপ্তি থেকে। চুনারুঘাট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বনজ কুমার হালদার জানান, আহত সবুজ মিয়ার ডান পায়ে ও হাতে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জরুরি চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সবুজ মিয়া আরও জানায় সম্প্রতি সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তরফদার সবুজ । কিন্তু তিনি প্রকৃত গরীব লোকদের না দিয়ে তার পছন্দের লোকজনকে ত্রান বিতরণ করছেন। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা প্রতিবাদ করছিলেন এরপরই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি বিস্তারিত জানতে পারিনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তরফদার সবুজের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের মধ্য ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply