বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি, প্রেমিক সৈকত কারাগারে

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৩৩০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্কঃ মৃত্যুর আগে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা (২১) ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতনদের কথায়ও সেই তথ্যের আভাস পাওয়া যায়। তবে লাশ উদ্ধারের নয়দিন পর অর্থাৎ গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ থেকে জানানো হয়, এই পুলিশকন্যার মরদেহে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি।

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘রুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্তে আমরা তিনটি টেস্ট করেছি। এর মধ্যে বায়োলজিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, ওর শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত নেই। আগামীকাল (আজ রবিবার) বাকি দুটির রিপোর্ট পাওয়া গেলে সবগুলো মিলিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হবে।’

এ দিকে রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার প্রেমিক সৈকতকে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আকতারুজ্জামান ইলিয়াস। অপরদিকে আসামিপক্ষে আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও থেকে সৈকতকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। এর পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নেওয়া হয় রিমান্ডে।

সৈকতের আইনজীবী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সৈকতের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আমরা তার জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর সৈকতকে চার?দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।’

গত ৪ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অচেনা হিসেবে রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ড. সোহেল মাহমুদ জানান, রুম্পার হাত-পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। আর ভবন থেকে পড়ে মারা যাওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।’
সুত্রঃ আমাদের সময়

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com