স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবার মুখে এখন আলোচনা শুধুই সম্মেলন। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ধরণ পাল্টাচ্ছে আলোচনার বিষয়বস্তু। কখনো কাউন্সিল নিয়ে, আবার কখনো প্রার্থী নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। তবে সম্মেলনের শেষ মূহূর্তে কি হয় তা দেখতে সাধারণ মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুণলেও আওয়ামী লীগ তৃণমূল নেতাদের দাবি ভিন্ন। তাদের দাবি সিলেকশন নয়, ইলেকশনের মাধ্যমে জেলা নতুন নেতৃত্বের সৃষ্টি করা হোক।
আগামী ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (নিমতলা) প্রাঙ্গনে এ সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা সেখানে বক্তব্য দেবেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর যদি কাউন্সিল না হয় তাহলে কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেকশনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করবেন। আবার সম্মেলনের দিন কমিটি ঘোষণা না করে কেন্দ্র থেকে দেয়ার কথা বলে প্রথম অধিবেশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিকতা।
এদিকে, সিলেকশন না করে ইলেকশনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতা নির্বাচন করতে চান তৃনমূল নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবি ইলেকশনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করলে মূলত জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতারাই নেতৃত্বে আসবেন। যদিও কেন্দ্রের প্রতিও শতভাগ আস্থা রয়েছে তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন- ‘আমরা চাই ইলেকশনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতা নির্বাচিত করা হোক। কারণ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে তৃণমূল্যের নেতা-কর্মীরা যোগ্য, ত্যাগী ও দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ তাদেরকে নির্বাচিত করতে পারবেন।’
তিনি বলেন- ‘কেন্দ্রের প্রতিও আমাদের শতভাগ আস্থা আছে। কারণ নেত্রী সারা দেশের খবরই জানেন। সুতরাং তিনিও যোগ্য নেতাদের হাতেই পূণরায় জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।’
জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে মোট ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৬ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জন এবং সাংগঠনিক পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Leave a Reply