স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্সে নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধের সাথে জড়িত হলে নিজ দলীয় নেতাদেরকেও ছাড় দেয়া হচ্ছে না। দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমাদের নজরে এসেছে। ধন্যবাদ জানাই সাংবাদিকদেরকে, এমন একটি সংবাদ তোলে আনার জন্য। মেডিকেল কলেজে টেন্ডার দুর্নীতির সাথে যে বা যারা জড়িত, তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা বিতরণ ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপকারভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে এমপি আবু জাহির বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব। প্রান্তিক কৃষকদেরকে বিভিন্নভাবে প্রণোদনা ও সরকারি সহায়তা প্রদান করায় দেশে উৎপাদন বেড়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূখী কার্যক্রমের ব্যাপারে নিজ নিজ এলাকায় প্রচার করতে উপকারভোগীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সাড়ে ৪শ’ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে রবি মৌসুমে ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন মুগ ও গ্রীস্মকালীন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এসব বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রুবেলর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আক্রাম আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরা বেগম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার হোসেন, ফরহাদ আহমেদ আব্বাস প্রমুখ।
সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল্লাহ জানান, শায়েস্তাগঞ্জ ও সদরের অন্তর্ভুক্ত ১৩ ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার আওতাধীন ৪৫০ জন কৃষকের মাঝে এই প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিজন কৃষক ভুট্টা ২ কেজি, সরিষা ১ কেজি, সূর্যমুখী দেড় কেজি, শীতকালীন মুগ ৫ কেজি এবং গ্রীস্মকালীন মুগ বীজ ৫ কেজি ও ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার পেয়েছেন।
Leave a Reply