শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন মিরপুর বাজার রণক্ষেত্র ॥ দুুই দিনে ১০ ঘন্টা সংঘর্ষ ॥ আহত ৪ শতাধিক হবিগঞ্জে কমছে পানি ভাসছে ক্ষত চিহ্ন

দুই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিলেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩২৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামের টিনের দোকানের কর্মচারী সুশান্ত দাশের মেয়ে নিশিতা দাশ। দারিদ্র্যের জন্য নুন আনতে পান্থা ফুরায় অবস্থা। এই প্রতিকূলতাকে জয় করে নিশিতা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “খ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪০০তম স্থান অর্জন করে ভর্তি সুযোগ পায় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে। কিন্তু ভর্তির জন্য এককালীন এতো টাকা দেওয়া দরিদ্র পিতার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা পাশে দাঁড়ান নিশিতার। একইভাবে চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ গ্রামের হাড়ি-পাতিল ফেরিওয়ালা আব্দুস শহীদের মেয়ে কুলসুমা আক্তার সুযোগ পান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বিবিএ ইউনিটে ৮৪তম স্থান অর্জন করেন। তিনিও ভর্তির টাকার জন্য হতাশ হয়ে পড়েন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা কুলসুমারও পাশে দাঁড়ান। মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা তার অফিসে নিশিতা দাশ ও কুলসুমাকে এনে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। পরে তাদেরকে মিষ্টি মুখ করান। এই টাকা পেয়ে তারা আনন্দে আত্মহারা তারা। এ সময় পুলিশ সুপার ভবিষ্যতেও তাদের সহায়তা ও পাশে থাকার ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, আমরা সরকারি চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে এগিয়ে আসার চেষ্টা করি। তবে সবাই যদি এ ধরনের অধম্য মেধাবীদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে তারা একদিন প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, আমি হবিগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে যখন নিয়োগ পরীক্ষা হয় তখন চা শ্রমিকের সন্তান, দরিদ্র ও অনগ্রসর পরিবারের সন্তানদেরকে চাকরি প্রদানে অগ্রাধিকার দেই। আমি দুই দরিদ্র মেধাবী ছাত্রীর পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com