স্টাফ রিপোর্টারঃ অপু এখনো জানে না তার মা আর বেঁচে নেই। সে জানে তার মা নানা বাড়ি বেড়াতে গেছেন। তার জন্য পটেটো নিয়ে আসবেন। নানা বাড়ি থেকে তার জন্য নারিকেল পিঠা আনবেন। অপুর কঁচি মুখে এমন কথা শুনে বাড়ি শুদ্ধ সবার চোখ জলে ভরে উঠে। অপুকে শান্তনা দেয়ার কোন ভাষা খোঁজে পান না স্বজনরা। তার মা পিয়ারা খাতুন (৪২) ছোট সন্তান অপুকে বাড়ি রেখে তানি বাবার বাড়ি লাকসামে বেড়াতে যান। শায়েস্তাগঞ্জ রেল ষ্টেশন থেকে তিনি চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন রাত সাড়ে ১২ টার সময়। বি-বাড়িয়ার মন্দবাগ স্টেশনে ট্রেনটি র্দুঘটনার কবলে পড়ে। এতে পিয়ারা প্রান হারান। স্বজনরা পিয়ারার মরদেহ সনাক্ত করে মঙ্গলবার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বাগাডাইয়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। এসময় পিয়ারার ছোট সন্তান অপু মায়ের নিতর দেহের উপর লুটিয়ে পড়ে। সে তার মা’কে জড়িয়ে ধরে কান্না-কাটি করতে থাকে। অপু বিলাপ করে বলে, আম্মা আমার পটেটো কই। তুমি না বলছিলে, আমার জন্য পটেটো নিয়ে আসবে। অপুকে কেউই শান্তনা দিতে পারছিলেন না। নিহত পিয়ারার আত্মীয়রা বলেন, মা’য়ের সাথে নানা বাড়ি যাওয়ার জন্য অপু খুব করে কান্না করছিলো। সামনে পরীক্ষা থাকায় মা তাকে সাথে করে বেড়াতে নিতে চান নি। এ সময় অপু রাগ করে মা’কে আবগে জড়ানো কন্ঠে বলছিলো, ‘আমাকে একা রেখে নানা বাড়ি যাও, তুমি মরবে’…. । শিশু অপুর কথাটা সত্য হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। অপু গাদ্দিশাল সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়রে ২য় শ্রেনীতে অধ্যয়নরত। মা’কে হারিয়ে সে এখন অনেকটাই আশ্রয়হীন।
Leave a Reply