চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হকের সাথে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আইন শৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ উপজেলার বিভিন্ন আইনশৃংখলা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, চুনারুঘাটকে যে কোন মূল্যে চুরি,ডাকাতি, মাদকসহ অপরাধ মুক্ত করা হবে। মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীরা যত বড়ই শক্তিশালী হউক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করা হয়েছে , হয় মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না হয় আমি থাকব। আমি যোগদানের পর থেকে এপর্যন্ত বিপুল পরিমান মাদক চুর,শীর্ষ ডাকাতসহ আসামী গ্রেফতার করেছি। এছাড়াও ইতিমধ্যে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এমাসে অন্যান্য বছরের তুলনায় মামলা কমেগেছে আশা করি সকলের সহযোগীতা পেলে চুনারুঘাটকে দাঙ্গামুক্ত শ্রেষ্ট উপজেলায় দাড় করাতে পারব। একান্ত সাক্ষাৎকালে তিনি এ সব কথা বলেন, ওসি আরো বলেন, আমাদের উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা মাদককের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। দেশ থেকে মাদক উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের বেপরোয়া অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার লোকজনের কাছে সকল প্রকার সহযোগীতা আশা করেন। ওসি বলেন, ভয়ভীতির উর্দ্ধে থেকে আপনারা আমাকে মাদকের তথ্য দিয়ে যাবেন আমার সকল প্রকার সহযোগীতা আপনাদের প্রতি থাকবে। ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাদক, মুক্ত চুনারুঘাট উপজেলা গড়ে তোলা। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে আমি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। মাদক নির্মুলের ক্ষেত্রে কোন তদবির চলবে না। এখন থেকে মাদককে যে প্রশ্রয় দেবে সে যদি আমার পুলিশও হয় কিংবা কোন দলের হয় আমার থানায় থাকতে পারবে না। আমাদের যে পরিমান পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে তা দিয়ে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই মাদক থেকে আমাদের উপজেলার মেধা ও প্রতিভাকে বাাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ মাদক বিরোধী জিহাদ ঘোষনা জানিয়েছেন ওসি শেখ নাজমুল হক। এদিকে পৌর শহওে চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এসব চুরি রোধে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি ছাড়াও এলাকাভিত্তিক পাহারা বসানো জরুরী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীদেরও তৎপর হওয়া দরকার। নইলে এসব চোরকে ঠেকানো যাবে না। আর এর সাথে কারা জড়িত কে এমন আতঙ্ক সৃষ্টি করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আলোচনা শেষে সবার সম্মতিতে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- পৌর শহরে রাত ১২টার পর থেকে সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে, বাজারে পাহারাদার নিয়োগ করা ও শহরের বিভিন্ন গুররুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যক্স) সভাপতি আব্দুস সালাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান মাসুদ, বিশিষ্ট মুরুব্বী ছুররুক আলী মীর, হাজী আবুল হোসেন, চুনারুঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি কামরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ফজলুল হক তরফদার আবিদ, মাওঃ আজিজুল ইসলাম ব্যবসায়ী নেতা প্রনয় পাল, নুরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী গোপাল দেব, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, পৌর যুবলীগ আহবায়ক নাজমুল ইসলাম বকুল, সিসিটিএন ব্যবস্থাপক নাছির উদ্দিন, ব্যবসায়ী নেতা সাজিদুল ইসলাম সহ চুনারুঘাটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ।
Leave a Reply