বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মাইক্রোটি উদ্ধার করেছে পিবিআই

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ মে, ২০১৯
  • ৩৩৪ বার পঠিত

হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জ শহরের বেবী ষ্ট্যান্ড এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ লাল দাশ(৩৯) কে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী আজমল হোসেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম গতকাল সুনামগরঞ্জর জগন্নাথপুর উপজেলা সিলাউড়া গ্রামের সামাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।
২০১৮ সনের ২৬ জুলাই রাত্র অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বেবী ষ্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ লাল দাসকে একদল দুর্বৃত্ত অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার ২দিন পর চুনারুঘাট বাজার সংলগ্ন খোয়াই নদীর ষ্টিলের ব্রিজ এলাকা থেকে হাত ও মুখমন্ডল স্কচটেপ দিয়ে মুড়ানো গৌরাঙ্গ দাশের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাটি তদন্তভার দেয়া দেয়া হয় হবিগঞ্জ পিবিআইকে। পিবিআইর ইন্সপেক্টর ফরিদুল ইসলামকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
এদিকে দায়িত্ব পাবার পর উর্ধতন কর্মকর্তা পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান চৌধুরীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উদ্ধার ঘটনার পর পর সন্দেহজনক ভাবে সোহাগ নামে একজনকে আটক করা হয়। পুলিশের বিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুল জবান বন্দি দেয়। আজিম হোসেন খান সোহাগ (৩১) ১৯ আগষ্ট আদালতকে জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে ঘটনার তারিখ ২০১৮ সনের ২৬ জুলাই রাত্র অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে একটি মাইক্রোবাস যোগে গৌরাঙ্গকে অপহরণ করে হাত ও মুখমন্ডল স্কচটেপ দিয়ে পেছিয়ে আখাউড়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। স্কচটেপ দিয়ে পেচানোর কারণে গৌরাঙ্গ মৃত্যু বরণ করে। পরে গৌরাঙ্গের লাশ চুনারুঘাট বাজার সংলগ্ন খোয়াই নদীর ষ্টিলের ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয় হয়। সোহাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী আজমল হোসেনকে বিগত আগষ্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়। আজমলকে এর আগে ২ বার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সর্বশেষ গত ১ মে আজমলকে ৩য় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আজমল হোসেন জানায়, হত্যার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোটি আজমল হোসেনের বাড়ির পাশে বি-বাড়িয়া জেলার দক্ষিণ পইর তলা স্ট্যান্ড থেকে ভাড়া করেছিল। গৌরাঙ্গ হত্যার ঘটনার পর মালিক মাইক্রোটি সুনামগঞ্জর জগন্নাথপুর উপজেলার কেশকপুর গ্রামের রুবেল নামে এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে ফেলে। এদিকে মাইক্রোটি ক্রয় করার প্রায় ৭ দিন পরই রুবেল একই উপজেলার সিলাউড়া গ্রামের সামাদের নিকট বিক্রি করে ফেলে। আজমল হোসেনকে সাথে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম গতকাল সুনামগঞ্জর জগন্নাথপুর উপজেলা সিলাউড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সামাদের বাড়ি থেকে মাইক্রাটি উদ্ধার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com