স্টাফ রিপোর্টার:- হবিগঞ্জ শহরের নিউ ফিল্ড মাঠে চলছে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্য মেলা। মাঝে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে এ মেলা। আর এর মাধ্যমে যেন নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে দর্শনার্থীদের। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল দর্শনার্থীতে মুখর। এছাড়াও মেলায় স্কুল
কলেজের শিক্ষার্থীসহ নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়।
জানা যায়, ২০১৯ সালের শুরুতেই দেশে হানা দেয় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। আর এরপর থেকেই নানা বিধিনিষেদের কারণে বন্ধ থাকে পর্যটনস্পটসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তবে ২০২১ সালের শেষের দিকে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ও তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি (গ্রাসরুটস)-এর সহযোগীতায় মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও মেলা শুরু হওয়ার কিছু দিনপরই আবারো বিস্তার দেখা দেয় করেনার নতুন ধরণ ওমিক্রণের। আর এতে করে বন্ধ হয়ে যায় মেলার কার্যক্রম। সম্প্রতি করোনার দাপট কমে আসায় আবারো শুরু হয়েছে এ মেলা। আর এতে করে প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী যাচ্ছে মেলায়। শিশু-কিশোরদের বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি দর্শনার্থী টানছে সার্কাস। যেখানে হাতির খেলাসহ বিভিন্ন ধরণের সার্কাসে মুগ্ধ হচ্ছেন অনেকেই।
মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবত কোন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়নি হবিগঞ্জে। তাই এবারের মাসব্যাপী এ কুটির শিল্প মেলায় আগ্রহ নিয়ে শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। কুটির শিল্প মেলা হলেও এবার মেলায় শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে অনেক বিনোদন মূলক ব্যবস্থা। তাই তাতে খুশি শিশু কিশোররা। এদিকে, মেলায় আসা দর্শনার্থীরা পুরো মেলা এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এবারের মেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শৃঙ্খলা রয়েছে।
বাংলাদেশ বেনারসি মসলিন জামদানি সোসাইটির সভাপতি ও মেলার ইভেন ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সভাপতি এম এ মঈন খান বাবলু জানান, করেনার প্রকোপ কমে আসলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী আসছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থী বেড়েছে। তিনি বলেন, এবারের মেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। মূলত হবিগঞ্জের মানুষদের বিনোদন দেয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply