নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি বণ্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গল থেকে গলায় ফাঁস লাগানো এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৭ফেব্রয়ারী বিকেলে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আলী আশরাফের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম সহ একদল পুলিশ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল থেকে গলায় ফাঁস লাগানো এ লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূর নাম আছমা আক্তার(২২)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসীরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের আলী মিয়ার মেয়ে। জানা যায়, গত ৩ বছর পুর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার কুন্ডা এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আলমগীরের সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ বছের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সুত্র জানায়, আলমগীর (২৬) পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক। যৌতুকের জন্য স্ত্রী আছমাকে প্রায় সময় নির্যাতন করতো আলমগীর। এমনকী পিতার দেয়া আছমার দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণও বিক্রি করে দেয় স্বামী আলমগীর । এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী আছমা স্বামীর উপর অভিমান করে পিত্রালয়ে চলে আসে । এরই ক্ষোভে স্বামী আলমগীর মিয়া তার পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী (১৬ফেব্রয়ারী) স্বর্ণ কিনে দেয়ার প্রলোভণ দিয়ে মাধবপুরের কথা বলে পিত্রালয় থেকে নিয়ে আসে স্ত্রী আছমাকে । পরে সিএনজি ভাড়া করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে আছমাকে সাতছড়ির গহীন জঙ্গলে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী । আছমার পরিবার তার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ দেখে স্বামীকে ফোন করেন। তখন আলমগীর আছমার সাথে দেখা হয়নি বলে টালবাহানা করে। একপর্যায়ে আছমার পিতা আলী মিয়া নাসিরনগর থানায় যোগাযোগ করলে থানা পুলিশ স্বামী আলমগীর মিয়াকে গতকাল বুধবার রাতেই আটক করেন।
Leave a Reply