বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

চন্ডিছড়া ব্রীজ ভয়াবহ হুমকির মূখে ॥ ৫টি ব্রীজে ভয়াবহ ফাটল ॥ বিক্রয় যোগ্য চা-পাতা পরিবহনে বিঘ্ন

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ২৯৪ বার পঠিত

মোঃ কামরুল ইসলাম ॥ টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণ পাহাড়ীঢল ও চা বাগান থেকে নেমে আসা পানিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের (পুরাতন) চুনারুঘাট ছন্ডিছড়া ব্রীজ ফের হুমকির মুখে। জরুরী ভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা না হলে চলতি বর্ষার মৌসুমের বৃষ্টিতে যে কোন সময় তলিয়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। এছাড়া রামগঙ্গা এলাকায়সহ আরো ৫টি স্থানে ব্রীজ মারাত্মক ঝুকিপূর্ন। কোথাও মাটি সরে গিয়ে গ্যাস পাইপ লাইন বেকা হয়ে আছে। চান্দপুর চা-বাগানের ভেতরে জোয়ালভাঙ্গা নামক স্থানে একটি ব্রীজের প্রায় ১০০ফুট একপ্রোচ পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ২টি আহমদাবাদ ও দেওরগাছ ইউনিয়নের প্রায় ২০হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাব-ডিবিশন ইঞ্জিনিয়ার অয়তিশ গৌস্বামী, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত স্থান গুলো পরিদর্শন করেছেন। অতি শীঘ্রই আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মেরামত না করলে চুনারুঘাটের সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিক্রয়যোগ্য চা-পাতা পরিবহনে গত বছরেও ঠিক একই সময়ে ছন্ডিছড়া থেকে তেলিয়াপাড়া ৭/৮ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ৫টি ব্রীজের একপাশ থেকে মাঠি সরে গিয়ে কোথাও কোথাও মহাসড়ক ভেঙ্গে ছড়ায় তলিয়ে গিয়ে প্রায় ১ মাস যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সরেজমিনে চুনারুঘাট ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ছন্ডিছড়া থেকে তেলিয়াপাড়া পর্যন্ত ৫টি ব্রীজ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন। অধিকাংশ অংশেই ব্রীজের একপাশ থেকে মাঠি সরে গেছে। অপরিকল্পিত ভাবে চা-বাগানের ছড়া থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনের ফলে ছড়া গভীর হয়ে গেছে। ফলে প্রবল বর্ষনে পাহাড়ী ঢল ও চা বাগানের পানিতে বালি মাটি সরে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী হাজারও চা-গাছ পাহাড়ী ঢলের সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই সংকোচিত হচ্ছে চা-বাগান। একযোগ পূর্বে চন্ডিছড়া ও সাতছড়ি ছড়া, চাকলাপুঞ্জি ছড়া, বেগমখাঁন ছড়ার প্রস্বস্থা ১০ফুটের জায়গায় ৫০ফুট কোথাও ৭০, কোথাও ১০০ ফুট, কোথাও ২০০ফুটও হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিমত জানান বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (পুরাতন) ব্রীজ ও সড়ক মেরামত জরুরী প্রয়োজন ছিল কর্তৃপক্ষের। বর্ষায় মহাসড়কের ব্রীজ কোনভাবে তলিয়ে গেলে টনক নড়ে। সরকারের লাখ লাখ টাকার অপচয় ঘটিয়ে জরুরী মোরামত কাজ করেন। টেকসই বিহীন দূর্বল কাজের কারনে পরের বছরই ফের সকল কিছুই পূনরায় রূপ ধারন করে। চলতি অর্থবছরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে চা বাগান বিক্রয় যোগ্য পাতা পরিবহন ও সাধারন নাগরিকের যোগাযোগ রক্ষা লাগবে স্থায়ী ভিত্তিতে মেরামতের দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com