শেখ জাহান রনি , মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরকারি র্শত মেনে দোকান মার্কেট খুললেও ক্রেতা নেই। করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যেই সরকারি শর্ত মেনে গত রবিবার (৩১-মে) থেকে বেশিরভাগ মার্কেট ও বিপণিবিতান খুলেছে। তবে কিছু শপিংমল প্রস্তুতি শেষ করতে না পারায় এখনও চালু হয়নি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এগুলো চালু হবে বলে আশা করছেন মাধবপুর বাজারে যেসব
মার্কেট খুলেছে সে গুলোতে ক্রেতা ছিল তুলনামূলক অনেক কম। অনেক মার্কেটের ব্যবসায়ীই বলছেন, সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে এলে এবং আতঙ্ক কমলে ক্রেতারা আসবেন। তবে নতুন করে চালু করা মার্কেট ও দোকান গুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদেরও নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বেচাকেনা ধরে
রেখেছে নিয়ম অনুযায়ী ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য কিনতে দেখা গেছে। মাধবপুর পৌর বাজারে বিভিন্ন মোবাইল দোকান গুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাধবপুরসহ সারা দেশের মার্কেট, বিপণি বিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও, বৃহস্পতিবার (৪-জুন) সকাল ১০টার আগে থেকেই মাধবপুর,
বাজারের অধিকাংশ দোকান খোলা হয়। দোকান গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বৃহস্পতিবার ( ৪.জুন মাধবপুর পৌর বাজারে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পোশাক পাদুকা গৃহস্থালি সামগ্রী প্লাস্টিক সামগ্রী, মোবাইল টাইলস ও স্যানিটারি, হার্ডওয়্যার, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্সসহ সব পণ্যের দোকান খুলেছে। বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে কিছু
ক্রেতার আনাগোনা ছিল যদিও। দোকান দাররা জানিয়েছেন, বেচাকেনা কম। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় নিয়ে জীবিকার তাগিদে দোকান খুলতে হয়েছে। সরকারি শর্ত মেনে করোনা প্রতিরোধের সুরক্ষাসামগ্রী কেনা, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন-বোনাস এবং দোকানে পণ্য তুলতে জমানো টাকা খরচ হয়েছে। তাই ক্রেতা পাওয়া না গেলে ব্যবসায়িকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ার আশঙ্কা আছে। মাধবপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা ৪জি, কালেকশনের মালিক টিটু সরকার, বলেন সকাল থেকে দোকান খুলে বসে রয়েছি কোনো বিক্রি নেই। আগে দৈনিক ২০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করতে পারতাম। এখন ২ হাজার ৩ হাজার এর বেশি বিক্রি হচ্ছে না তবে দুই-চারদিন গেলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে পাশেই রয়েছে, অরর্পন কালেকশন,
ব্যবসায়ী টিটু সরকার টু বলেন, দোকানে যা বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে দোকানের বিদ্যুৎ বিলও দেওয়া সম্ভব হবে না। এমন বিক্রির চেয়ে দোকান বন্ধ থাকা অনেক ভালো। এদিকে আগের চেয়ে ভিড় বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা দোকান গুলোতে। কাঁচা বাজার গুলোতে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়নি সাধারণ
মানুষের মধ্যে। যে যেভাবে পারছেন, কেনাকাটা করছেন। অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতাকে মাস্ক পরতেও দেখা যায়নি। আবার অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও সঠিকভাবে ছিল না। মাধবপুর পৌর বাজারের দোকান মালিক কর্মচারীরা বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় সরকারের নির্দেশনা মেনে দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখায় আয়-রোজগারও বন্ধ ছিল। সরকারি নির্দেশনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে
দোকানপাট খোলা হয় কিন্তু দোকান, খোলা হলেও তেমন ক্রেতা নেই। তবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তারা নিজেরাও আতঙ্কিত। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান দারি করবেন বলে জানান। মাধবপুর পৌর বাজার কমিটির সেক্রেটারি শাহ সেলিম, বলেন এখন দোকানে তো কোনো কাস্টমারি নেই। শুধু শুধু দোকান-মার্কেট খুলে বসে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এখন সব মার্কেট ক্রেতাশূণ্য
মানুষজন খুব সচেতন এখন। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকান-মার্কেট গুলো খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এখনও যারা মার্কেট বা দোকান খোলার প্রস্তুতি শেষ করতে পারেননি তারা আস্তে আস্তে খুলবেন।
Leave a Reply