এস আর সুজনঃ দেশে টানা লকডাউনের ফলে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল ও পর্যটকের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। সহজেই চোখে পড়ছে বিলুপ্ত প্রজাতির হনুমান, বানর, হরিণ, ময়না পাখি, বন মোরগসহ নানা প্রাণী। অনেক সময় এসব প্রাণী চলে আসছে লোকালয়ে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় উদ্যানের ভেতর সারা বছরই শব্দ বিহীন থাকা উচিত। সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বিভিন্ন গাছের ডালে হরেক রকমের পাখির বাসায় ডিম। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ জেগে উঠেছে। এ যেন পাখির স্বর্গরাজ্য। পাখি কিচিমিচি, কীটপতঙ্গের আওয়াজই মুখরিত করে রাখছে পুরো জাতীয় উদ্যান। জানা যায়, ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন অনুযায়ী ২০০৫ সালে ২৪৩ হেক্টর পার্বত্য এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। চুনারুঘাট শহর ছাড়িয়ে উত্তরে প্রায় ৭ কিলোমিটার পরেই অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। উদ্যানটি কয়েকটি চা-বাগান, গ্রাম ও পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলহাজ শামছুজ্জামান শামীম বলেন, অভয়ারণ্যে থাকা ৩০০ প্রাণীসহ গাছপালা ও পরিবেশ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। এখানে রয়েছে ১৯৭ প্রজাতির জীব। যার মধ্যে ১৪৯ প্রজাতির পাখি, ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ছয় প্রজাতির উভচর প্রাণী। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ অফিসার মো. মাহমুদ বলেন, ২৪৭ প্রজাতিসহ শতাধিক প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য সাতছড়ি লকডাউনে আপন সাজ ফিরে পেয়েছে। সারা বছরই আমরা এভাবে পাখির আবাস নিরাপদ রাখার চেষ্টা করব।
Leave a Reply